২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৩৭/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

জিরো টলারেন্স টু করাপশন বললেন দুদক কমিশনার

     

ডিসেম্বরে আগে আরো একবার গণশুনালি

এম. আলী হোসেন

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন এমন এক আতঙ্কে রয়েছে যে, তারা যেকোনো সময় ধরা পড়বে ও শাস্তির সম্মুখীন হবে।

বুধবার ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শহীদ বীরোত্তম শাহ আলম অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই প্রথম চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন গণ শুনানির আয়োজন করেছে।ডিসেম্বরে আগে আরো একবার গণশুনালী হবে বলে তিনি উপস্হিত লোকজনকে আশ্বস্ত করেন।

দুদক কমিশনার আরো বলেন, দুদক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আগে বলা হতো দুদক শুধুমাত্র চুনোপুঁটিদের নিয়ে কাজ করে, রুই-কাতলা ধরে না। এখন কিন্তু সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও জেলে আছে। তিনি বলেন, যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসেবেই থাকবেন। মামলার বিচার থেকে কোনো পরিত্রাণ নেই। জীবিত থাকতে অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সহযোগী যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাজ থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে হবে উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জিরো টলারেন্স টু করাপশন। এটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট। আমরা যদি এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি, তাহলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। ‘দুদক ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এখন দুদকের আকার ও সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্নীতিকে আমলে নেওয়ার ও বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। দুদকের ৭০ শতাংশ মামলায় শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’

সরকারি দপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে গণশুনানির আয়োজন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুনানি উপলক্ষে  ৮০টির বেশি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন মিলনায়তনে।

সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে টানা ৫ ঘন্টারও বেশি সময় এ শুনানি চলে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে চারটি করে মোট আটটি অভিযোগ শুনানি করে দুদক। যার মধ্যে সবগুলো অভিযোগেই একদিন থেকে আগামী সাতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল খক খান।
এ চারটি সেবা সংস্থা ছাড়াও রেলওয়ে বিরুদ্ধে দুইটি, বিআরটিএ’র দুইটি, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার তিনটি, ভূমি শাখার তিনটি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দুইটি, কাস্টম হাউজের বিরুদ্ধে একটি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে দুইটি, চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে দুইটি, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক দপ্তরের বিরুদ্ধে একটি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের বিরুদ্ধে একটি, খাদ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে একটি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে একটি, বিআরটিসির বিরুদ্ধে একটি, বিটিসিএল’র বিরুদ্ধে একটি, যমুনা ওয়েলের বিরুদ্ধে একটি, সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিরুদ্ধে একটি, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি এবং জেলা নির্বাচন অফিসের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করা হয়।

শুনানিতে চট্টগ্রাম মহানগরের ৮৩টি সরকারি দপ্তর অংশগ্রহণ করে। এসব দপ্তরের বিপরীতে প্রায় দুইশ অভিযোগ আসে দুদকের কাছে। তবে প্রাপ্ত অভিযোগগুলোর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ৪৭টি অভিযোগ শুনানি করা হয়।শুনালি চলাকালে কথার ফাকেঁ ডিসি মমিনুর রহমান বললেন ‘সব কিছু আইন দিয়েও হয় না। ভুমি অফিসে ২৩ সিন্ডিকেট জড়িত।’ বক্তব্য দিতে দিয়ে কৌতুহলচ্ছলে একবার দুদক কমিশনার বললেন ঘুষ নিতে গেলে বুদ্ধিমান হতে হবে ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply