২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:৩৪/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ঈদ আনন্দ একাল সেকাল

     

মাহমুদুল হক আনসারী

ঈদের আনন্দ পালিত হোক ঘরে ঘরে। ঈদ মানে খুশি উৎসব। আবহমান কাল থেকে মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার খুশি উদযাপিত হয়ে আসছে। রোজার শেষে ঈদুল ফিতর, আর পশু কুরবানির মাধ্যমে উদযাপিত হয় ঈদুল আযহার আনন্দ। এই আনন্দ মুসলিম বিশ্বের ঘরে ঘরে পালিত হয়। ধনী গরীব সকলের মাঝে ঈদের আনন্দ অপূর্ব ভাবে লক্ষ্য করা যায়। মুসলিমদের ঘরে ঘরে এক আনন্দগন পরিবেশ তৈরি হয়। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যগরিষ্ট দেশ । এখানে ঈদের আনন্দটা দেখার মতো ।

ঈদ আনন্দ ছোটদের মধ্যে একরকম, বড়দের মধ্যে অন্যরকম । ছোটরা দুই ঈদের আনন্দ ভিন্ন ভাবে পালন করে থাকে। ঈদুল ফিতরের আনন্দ নতুন জামা কাপড় পরিধান করে পালন করে থাকে । আত্মীয় – স্বজনের বাড়ি , প্রতিবেশীর মহল্লায় মহল্লায় , ফিন্নি সেমাই নানা প্রকারের বাহারি আপ্পায়নে আনন্দকে উপভোগ করে । সাপ্তাহ পর্যন্ত এই আনন্দ তাদের মধ্যে চলতে থাকে । ঈদুল আযহার কুরবানি পশু নিয়ে, পশুকে গোসল করানো মালা পরানো গরুর বাজারে ঘুরাঘুরি এটা মুসলিম সমাজে কুরবানি দাতাদের মধ্যে এক প্রকার আনন্দ । বড়রা কুরবানির জন্য অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন , আর অন্য বয়সের মানুষগুলো তা আনন্দের সাথে উপভোগ করে ।

ঈদুল ফিতরের সময় যেমনি ভাবে নতুন জামা কাপড় টাকা পয়সা দিয়ে গরিব আত্মীয় স্বজনের খবর নেয়া হয় , অনুরূপ ভাবে ঈদুল আযহার ঈদে পশু কুরবানি দিয়ে গোসত পরিবার পরিজনের সাথে ভাগ বন্টন করা হয় । আত্মীয় – স্বজন, গরীব, এতিম , মিসকিনদের মধ্যে বন্টন করা হয়। সবাই মিলে আনন্দে এবং স্বাচ্ছন্দের মধ্যে একে অপরের সাথে মিলে মিশে ঈদ আনন্দ উদযাপিত হয়। তবে এবছর কুরবানির ঈদ এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে , যখন বাংলাদেশের প্রায় অনেক অঞ্চল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত। সেই সব এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঘর বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে । তাদের পাশে সরকারের নানা মানবিক সাহায্য অব্যাহত আছে । পাশাপাশি মানবিক সংগঠন গুলো বন্যার্তদের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যার্ত এলাকার মানুষের দুঃখ লাঘবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা দীর্ঘ মেয়াদি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ।

বিভিন্ন এনজিও সংস্থা জাতীয় – আন্তর্জাতিক ভাবে ওইসব মানুষের পাশে দাড়াতে দেখা যাচ্ছে সামর্থ্যবান মুসলিম নাগরিকদের আহবান করবো তাদের পাশে যেন সামর্থ্যরে মধ্যে সবধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হয় । তারাও যেন ঈদের খুশি উপভোগ করতে পারে সেটা যেন সবশ্রেণির সামর্থ্যবান মানুষ দেখাতে সক্ষম হয়। ঈদের খুশি ভাগ-বন্টনের মধ্যে করা হলে সেখানেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব । আনন্দ খুশি সকলের মধ্যে সমান ভাবে পালিত হোক । মিলে মিশে সবাই মিলে ঈদ আনন্দ উৎসব পালনই হলো মুসলিম সমাজের ঐক্যের প্রতীক ।

সাম্য ভাতৃত্ব উৎসব সবকিছুতেই ঐক্য রাখতে হবে । সামর্থ্যবান আর সামথ্যের বাইরে সবমানুষের মধ্যে আনন্দ ভালোবাসা একত্রিত হোক । ইসলাম ঐক্যবদ্ধ সৃংখলা পূর্ণ জীবন বিধান শিক্ষা দেয় । সেই শিক্ষা ঈদের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তর প্রতিষ্ঠা হোক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply