১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:১৮/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৫:১৮ অপরাহ্ণ

ফ্ল্যাট ও বকেয়া টাকা উদ্ধারের জন্য ফ্ল্যাটের মালিক মামলা করলো ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে

     

ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মালিক মামলা করলো ফ্ল্যাট ও বকেয়া টাকা উদ্ধারের জন্য।কিন্তু তবু মালিক পক্ষ জানে না কখন ফ্ল্যাট উদ্ধার হবে ও বকেয়া টাকা হাতে আসবে ।এ নিয়ে মামলা ছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবরে আবেদন করেছে ফ্ল্যাট মালিক হাফেজা সুলতানা ।

জানা গেছে,  গত ২৬ জুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবরে ফ্ল্যাট ও বকেয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আবেদন করেছে ফ্ল্যাট মালিক হাফেজা সুলতানা।

অভিযোগের সুত্রমতে, চট্টগ্রামের ১৬, ষ্টেশন রোড বিআরটিসি ফলমণ্ডী রেলওয়ে ম্যানস সুপার মার্কেটে ব্যবসায়ী মোঃ মোতালেব ও ওয়াহিদা রহমান নগরীর সুগন্ধ আবাসিক এলাকায় মসজিদের পাশে হোল্ডিং নং ১২০, ৬ তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে এই ভাড়া বাসায় উঠেন ভাড়াটিয়ারা।

২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করলেও তারপর থেকে তারা আর ভাড়া পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে বকেয়া ভাড়ার বিপরীতে গত ২ জুলাই মে ২০১৯ সনে  ৯০,০০০/-টাকার একটি চেক দেয়। কিন্তু ওই চেকখানা ব্যাংকে জমা করা হলে তা নগদায়ন হয়নি। এই নিয়ে বহুবার ভাড়া প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যকর না হওয়ার ভাড়াটিয়া মোঃ মোতালেবের বিরুদ্ধে চেকের মামলা দায়ের করা হয়। (দায়রা মামলা নং ৩৮৮১/২০২০) । যা বর্তমানে ১ম যুগ্ন মহানগর জজ আদালত চট্টগ্রামে চলমান রয়েছে।

তৎপরবর্তী সময়েও ভাড়া পরিশোধ না করায় মালিক পক্ষ ভাড়ার টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে বরং হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে ২৩ জুন ২০২০ তারিখে পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয় যাহার নং ১৩১৭। এই ডায়েরীর পরিপ্রেক্ষিতে থানার তৎকালীন সেকেন্ড অফিসার আবু তালেব এর পরামর্শক্রমে আপোষ চুক্তিমতে মোঃ মোতালেব পুনরায় বকেয়া ভাড়ার জন্য ১,০০,০০০/-টাকার আরেকটি চেক প্রদান করে। ২৮ শে মার্চ ২০২০ ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকারও করে। কিন্তু  প্রদত্ত ১,০০,০০০/-টাকার চেকটিও পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় ব্যাংক কর্তৃক নগদায়ন হয়নি। এই বিষয়ে মোঃ মোতালেবকে জানালে সে  কোন সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যায়।তখন প্রতিকারের আশায় মাঃ মোতালেবের বিরুদ্ধে আরেকটি চেকের মামলা দায়ের করা হয় যাহার নং ৪৩২৯/২০২০। বর্তমানে ৫ম যুগ্ন মহানগর জজ আদালত চট্টগ্রামে বিচারাধীন আছে।

মোঃ মোতালেব দেয়া ২টি চেকের ১,৯০,০০০/-টাকা এবং তৎপরবর্তী মাসিক ভাড়া পরিশোধ ব্যতিরেকে ভাড়াটিয়া মোঃ মোতালেব তার স্ত্রী মিসেস্ ওয়াহিদা রহমান ও আরো ২ ছেলে নিয়ে  ফ্ল্যাট মালিকদের প্রাণনাশের হুমকীসহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক ফ্ল্যাটটি দখল করে রাখে।

ভবন মালিক হাফেজা সুলতানার ভাষ্যমতে,  এই ভবনটি ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে অর্থাৎ প্রায় ২৫/২৬ বছর পূর্বে নির্মিত হয়। স্থাপিত গ্যাস লাইন বিভিন্ন সময় লিকেজসহ নানা ত্রুটি থাকায় বর্তমানে ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফ্ল্যাটের দেওয়ালের ভেতরে স্থাপিত পানির জিআইপাইপ আয়রণ এবং মরিচায় বন্ধ ও অকেজো হয়ে পড়ায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত ঘটছে নিয়মিত। তা ছাড়া কোন কোন ফ্ল্যাটের দেওয়ালে কনসোল ওয়ারিং করা বৈদ্যুতিক লাইনেও ত্রুটি ধরা পড়ছে। ফলে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিগ্ন ঘটছে। ভাড়াটিয়া বদলের কারণে অন্যান্য ফ্ল্যাটগুলি সংস্কার করা সম্ভব হলেও মোঃ মোতালেব এর অবৈধ দখলে থাকায় ৬ তলার ফ্ল্যাটটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এই ত্রুটিগুলি অতিসত্বর সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে বলে জানান ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ।

এই ব্যাপারে মোঃ মোতালেব ও ওয়াহিদা রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১১ ৩২৩৯৮৭  নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply