তেলের দাম বাড়িয়ে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে সরকার: বাম জোট
ভোজ্য তেল সয়াবিনের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বলে উল্লেখ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়।
ঈদের পর সংকট আরো তীব্র হয়। বাজারে এমন সংকটের মধ্যেই ভোক্তাস্বার্থ না দেখে বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে তেলের দাম এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়ে যাবে।
নেতারা বলেন, এমনিতেই দুই বছর ধরে করোনা মহামারিকালে দেশবাসী চাকরি হারিয়ে, আয় কমে গিয়ে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে। সে সময় ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে জীবন-জীবকা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় রাখার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান নেতারা।
তারা নিত্যপণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ করে সরকারি উদ্যোগে আমদানি ও বিতরণ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদের সমন্বয়ে বাজার তদারকি জোরদার ও সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন বাম জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও ইউসিএলবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।