১৮ এপ্রিল ২০২৪ / ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৪৪/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

সন্ধ্যায় হানা দিতে পারে কালবৈশাখী

     

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মঙ্গলবার (০৩ মে) সকালে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদের আনন্দে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। যদিও ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। এদিন ভোর থেকেই আকাশে মেঘ জমতে থাকে।

 

বৃষ্টির কারণে ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছে মানুষ। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর কোথাও কোথাও ঈদ জামাতে বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই ধুম বৃষ্টির কারণে ঈদের জামাত অনেকেই মাঠে আদায় করতে পারেননি। ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মুসল্লিদের।

 

এ অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঈদের দিন দুপুর, বিকেল বা সন্ধ্যায়ও দেশের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখি ও বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এবং রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে।

 

এদিন দেশের ১৬টি অঞ্চলের ওপর দিকে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখি বয়ে যেতে পারে। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

 

মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ৯টার কিছু পরে কালো মেঘে যেন সন্ধ্যা নামে আসে। এরপরই শুরু হয় কালবৈশাখি, বজ্রপাত সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি অনেকটাই থেমে যায়, তবে আকাশ মেঘলা রয়েছে।

 

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল বিভাগে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরে চট্টগ্রামের দিকে কালবৈশাখি ও বৃষ্টি হতে পারে।

 

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

 

এসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। বুধবারও (০৪ মে) এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান বজলুর রশীদ।

 

অপরদিকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে বলেন, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

তিনি জানান, এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

সোমবার (০২ মে) সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ মঙ্গলবার সকালে সারাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও বাদলগাছীতে ২০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

এছাড়া মঙ্গলবার (০৩ মে) ভোর ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪১ মিলিমিটার। এছাড়া সিলেটে ৩১, ফেনীতে ১০ ও আরও বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে।

 

ঢাকায় মঙ্গলবার সকালে বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply