২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৪০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩১৬ক) প্রযুক্তিবীদ সজীব ওয়াজেদ জয় সমীপে

     

মাননীয়,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয় সমীপে,

শ্রদ্ধেয় সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইজানরে,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন।আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ভিশন ও মিশন কায়েমের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা- সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে বসন্তের  শুরুতে গৌরবের মাস ফেব্রুয়ারীতে দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেল বারে  তারেক জিয়া সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা  লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য  লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

ভাইজানরে, 

আপনি হইলেন, বাঙ্গালী জাতির পিতা এশিয়ার লৌহ মানবখ্যত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর নারী নেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের মেধাবী ব্যাক্তিত্ব পরমানু বিজ্ঞানী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার সুযোগ্য সন্তান।আপনিতো এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ক উপদেষ্ঠা।আপনার ও মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্যারের হাত ধরিয়ায় বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাঁটিতেছে। এই হাঁটা গোটা দুনিয়ার মানুষ দেখিতেছে, আমরা কীভাবে এগিয়া চলিতেছি।আপনাদের স্বেচ্ছাসেবক হইয়া গোটা দেশে অসংখ্য নিউজ পোর্টাল সম্প্রচার হইতেছে।যাহারা শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত অনেক ত্যাগ স্বীকার করিয়া, ধৈর্য ধরিয়া, খাইয়া না খাইয়া এবং ভর্তুক্তি দিয়া নিউজ সাইট আপডেড রাখিয়াছেন তাহাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধন দেওয়া উচিত বলিয়া মনে হইতেছে।এই বিষয়ে অন্যান্যদের সাথে বিশেষ করিয়া দেশপ্রেমিক প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার স্যারের সহায়তা চাইলে দেশ লাভবান হইবে বলিয়া দেশের আইটি ও অনলাইন সাংবাদিকরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করিতেছে।

ভাইজানরে,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যত সহজে যে সব ধারণা আপনি দিতে পারিবেন সেইরকম পৃথিবীতে অন্য আর কেউ নাই । তাই আপনাকেই আমার চিন্তাগুলো না বলিলেই নয়।আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন গুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালাইয়া দলকে সাজানোর এখনই সময়।এইজন্য চাই প্রতি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রিয় কমিটিতে কমপক্ষে ৫ জন করিয়া দলের জন্য নিবেদিত, সর্বনিম্র ২০ দশ ধরিয়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনে পদ-পদবীবিহিন সমর্থক হইয়া কাজ করিয়াছে এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্য, দলের দুঃসময়ে ছিল, এখনো আছে তাহাদেরকে সংগঠনে ইন করুন।এইরকম ৫জন করিয়া প্রতি সাংগঠনিক কমিটিতে বাছাই করিবার দায়িত্ব লইতে হইবে স্বয়ং আপনারই মনোনিত একটি টিম।তাহা হইলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন সঠিক নেতৃত্ব নির্ভর হইবে।এক্ষেত্রে মনে রাখিতে হইবে, ছাত্র রাজনীতি যাহারা করিয়াছে এখনো সংগঠনে আছে তাহারাই দলকে এগিয়ে নিতে পারিবে সহজে।পাশাপাশি যাহারা বিএনপি, আতীয় পাটি, ইসলামী ফ্রন্ট, জাসদ বাসদ ঘুরিয়া আওয়ামী লীগে আশ্রয় নিয়াছে তাহাদের ব্যাপার কঠোর হইতে হইবে এবং আশ্রয় – প্রশ্রয় দাতাদের ব্যাপারেও সর্তক থাকিতে হইবে।

ভাইজানরে

আপনার মমতাময়ী মা পৃথিবীর আলোচিত ও ক্ষমতাধর নারী নেত্রী শেখ হাসিনা এখন শক্ত হাতে সঠিক পথে সরল রেখায় হাঁটিতেছে বলিয়া রাজনৈতিক নেতারা বলিতেছে।দেশে ও দেশের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সত্যিই সাধারণ নেতা কর্মীরা উৎজ্জীবিত হইতেছে বলিয়া শুনিতেছি।রাজনীতি করিতে গেলেই যে সন্ত্রাস লাগিবে, টাকা পয়সা লাগিবে এই ধারণা পালটে ফেলিতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।এই কথাটি সৎ, ত্যাগী ও আদর্শবান নেতাদের অনুপ্রেরণা জোগাইতেছে।তিনি আরো বলিলেন, দলের নেতৃত্বে সৎ, যোগ্য এবং পরীক্ষিতদের সামনে নিয়ে আসা হইবে। এই ক্ষেত্রে আপনি আগের প্যারার প্রস্তাবগুলো কাজে লাগাইলে সঠিকভাবে দল গঠনে সুবিধা হইবে বলিয়া লোকেরা বলিতেছে।এদিকে ওবায়দুল কাদের বলিলেন, মন্ত্রী-এমপিদের আয়-ব্যয়ে অসংগতি দেখিলে গণমাধ্যমে প্রচার করুন ।এই কথা শুনিয়া গণমাধ্যমের কর্মীরা খুশী হইয়াছে বলিয়া শুনিতেছি।

ভাইজানরে

দূর্নীতিবাজ ও সিভিল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকেরা লিখিলে আইসিটি আইনে মামলা করিয়া সাংবাদিকদের হয়রানী করিতেছে বলিয়া খবর পাইতেছি।দৈনিক সকালের সময়ের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সাহেবকে কিছু চিহ্ণিত লোকেরা আইসিটি মামলা দিয়া হয়রানী করিতেছি বলিয়া শুনিয়াছি।বিষয়টি লইয়া চট্টগ্রামের সাংবাদিকেরা চরম ব্যথিত হইয়াছে।সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর সুপুত্র ও আইসিটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে আইসিটি আইনে সাংবাদিকেরা যাহাতে হয়রানী না হয় সে ব্যবস্তা লইয়া সাংবাদিকদের পাশে থাকিবেন বলিয়া দেশের সচেতন লোকেরা আশা করিতেছে।

আজ আর না। মঙ্গল ও সুস্বাস্হ্য কামনায় আপনারই গ্রাম বাংলার ইতি

অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া

গ্রন্হনা ম. আ. হ

আগামী সংখ্যায়  আ জ ম সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা ( ৩১৭) সম্প্রচার করা হইবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply