২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:২৩/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৮:২৩ অপরাহ্ণ

খাদ্যদ্রব্যের প্রতি মানবিক হই

     

মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী

করোনা মহামারীর কঠিন সময়েও তৈরি কিংবা কাঁচা খাদ্য কোনোটির ওপরই মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে প্রাণঘাতী অসুখের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের শতকরা নব্বই ভাগ মৌসুমি ফল ও শাক-সবজিতে বিষ মেশানো হয়। একই ভাবে মাছ, গুঁড়া মসলা, শিশু খাদ্য, এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল এখন নৈমিত্তিক ঘটনা। নিত্য ব্যবহার্য এসব খাদ্যে ফরমালিন, কীটনাশক সহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে নিয়োমিত। নিজস্ব ও আমদানিকৃত কোনো খাদ্যই ভেজালের আওতামুক্ত নয়। ভেজাল প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অসৎ ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া উচিত নয়। কেবল জেল-জরিমানা নয় এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করা প্রয়োজন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে এর পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে। তবে এটা সত্য যতদিন পর্যন্ত অসৎ ব্যবসায়ীদের মানসিকতার পরিবর্তন না হবে ততদিন পর্যন্ত এ প্রবণতা চলবেই। তাই সর্বদায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান সক্রিয় রাখতে হবে। ভেজাল অভিযান পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা দরকার। জনগণের স্বাস্থ্যরক্ষায় এ অভিযান সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতকেও মনিটরিংয়েন আওতায় রাখতে হবে। খাদ্যদ্রব্যে যারা বিষ মিশিয়ে সজ্ঞানে জনস্বাস্থ্যকে হুমকি বা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় তারাও খুনি। তাই প্রত্যক্ষভাবে হত্যাকান্ডে জড়িতদের যেমন কঠোর শাস্তির বিধান আছে তেমনই পরোক্ষভাবে যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের আরও কঠোর ও দ্রুত আইনে বিচারের ব্যবস্থা করা জরুরি। এতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ, দ্রæত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণই পারে এই জঘন্য কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখতে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply