২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:০৪/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৮:০৪ অপরাহ্ণ

ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা (৩১০খ) ডা. মুরাদ হাসান সমীপে

     

 

মাননীয়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সমীপে,

শ্রদ্ধেয় মুরাদ হাসান ভাইজানরে,

গরম গরম কথার শুরুতেই আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া  আপনার নির্বাচনী এলাকার জন্য ভিশন ও মিশন কায়েমের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেল বারে আওয়ামী  লীগের হুইপ সামশুল হক এমপি সমীপে  গরম কথা  লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম তাই  লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন এবং ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

ভাইজানরে,

আপনি হইলেন, মুজিব নগর সরকারের অস্থায়ী বিচারপতি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারের সুসন্তান । বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী । এর আগেও আপনি সফলতার সাথে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছেন। আপনার পিতা জেলা আওয়ামী লীগ ও  আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশের জামালপুর-৪ আসনের দুইবারের জাতীয় সংসদ সদস্য  আপনি । শুনিয়াছি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর নেতৃত্বেও আছেন । ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক আপনি। আপনার স্ত্রী ডা: জাহানারাও পেশায় একজন ডাক্তার। ডা: দম্পতি আপনারা। যাক, সেই সব কথা।

ভাইজানরে,

চলতি সনে আপনি বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান লইয়া সংশয় প্রকাশ করিয়াছেন। সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম  ইসলাম বাদ এবং ১৫তম সংশোধনী বাতিল করিয়া  ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনর্বহাল রাখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সকল ধর্মের প্রতি সমান মর্যাদা উল্লেখ থাকিবার কারণে আপনার প্রস্তাবটি নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়িয়াছে। মনে রাখিবেন মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশে কথা বলিবার সময় খুব ভাবিয়া চিন্তিয়া বলিতে হইবে। বিসমিল্লাহ লইয়া একবার যখন হইচই শুরু হইয়াছিল তখন দেশের অগ্নিকন্যা খ্যাত সাবেক ডাকসুর ভিপি ও সফল মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে ‘বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম’ বলিয়া সংসদে ভাষণ দিয়াছিলেন।দূরর্দর্শী নেত্রী ছিলেন বলিয়া তিনি মানুষের মনের কথা বুঝিতে পারিয়াছিলেন। ফলে দলকে তিনি সমালোচনা মুখে পড়িতে দেন নাই।

ভাইজানরে,

ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে বিকশিত করিবার জন্য আপনার মন্ত্রণালয়ের ভুমিকা অতুলনীয়। এক সময় খালেদা জিয়া সাইবার ক্যাবল সমুদ্র তলদেশ দিয়া দেশে আনিতে দেন নাই। ফলে এনালগ জীবনে আমরা ডিজিটাল সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইটি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় ও মোস্তাফা জব্বার স্যারদের কারণে বাংলাদেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় মাথা উঁচু করিয়া দাড়াইয়াছে। এই গতিকে জোরদার করিবার জন্য আপনার মন্ত্রণালয়ের কাজ বেশী। এখন মানুষ অনলাইনে সব সুবিধা পাইতে চাই ও লইতেছে। লকডাউনে দুনিয়াবাসী বুঝিয়াছে অনলাইন মানুষের জীবন প্রণালীতে কতটা প্রয়োজন। গোটা দুনিয়াতো তখন অনলাইন নির্ভর হইয়া পড়িয়াছিল।এখনো দিন দিন মানুষ অনলাইন নির্ভর হইতেছে।এইটা সময়ের দাবী এইটাই বাস্তবতা।

 ভাইজানরে,

গত সপ্তাহে যেহেতু আপনাকে লইয়া লিখিব জানান দিয়াছি তখন থেকেই অনলাইন পোর্টালের সম্পাদকেরা কিছু কথা আপনাকে জানাইবার জন্য অনুরোধ করিয়াছে। তাহারা বিস্ময় প্রকাশ করিয়া বলিতেছে যাহারা নিয়ম মতো আবেদন করিয়া ১০ থেকে ১৫ বছর পোর্টালগুলো চালাইতেছে তাহারা নিবন্ধন না পাইয়া ১ বছর বা আরো কম সময়ে চালু পোর্টালগুলো কীভাবে নিবন্ধন পাইতেছে ? আগে যাহারা আবেদন করিয়া ভর্তুকি দিয়া পোর্টাল চালাইয়া আসিতেছে তাহাদের নিবন্ধন দিয়া উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেওয়া উচিত নয় কী ? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইটি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় ও মোস্তাফা জব্বার স্যারেরা বলিয়া থাাকেন অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও কলাকৌশলীরাতো ডিজটাল বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক। এই স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিতে পারিলে ইহারা বাংলাদেশকে অনেকদুর আগাইয়া নিয়া যাইবে। আইপি টিভি ও অনলাইন পোর্টাল বন্ধ নয় বরং শৃংখলার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শর্তসহ নিবন্ধন দিয়া কাজ করিবার সুযোগ দেয়া উচিত বলিয়া সচেতন লোকেরা বলিতেছে। স্বেচ্ছাসেবকদের গলায় রশি বাধিয়া ডিজটাল বাংলাদেশ কায়েম করা সহজ নয় বলিয়া দেশপ্রেমিক লোকেরা বলিতেছে।

 ভাইজানরে,

ইউপি নির্বাচন লইয়া দলে দলীয় প্রতীক লইয়া নানান কথাবার্তা মাঠে হইতেছে। দলীয় প্রতীক ছাড়া ইউপি নির্বাচন হইলে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা মূল্যায়ন হইবে বলিয়া শুনিতেছি। এখন প্রতীক লইয়া কেউ কেউ বাণিজ্যও করিতেছে। অন্তত ৫ম ধাপে হইলেও নৌকা প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করিবার কথা ভাবিতে পারেন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইতে পারেন। দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হইলে দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করিয়া পরবর্তী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন। মনে রাখিবেন, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।

আজ আর নয় ।মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় আপনারই  গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠাণ্ডা মিয়া । গ্রন্থনা ম আ হ

আগামী সংখ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা ( ৩১১) সম্প্রচার করা হইবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply