স্মরণ: আতাউর রহমান খান কায়সার
এম.আলী হোসেন
তাঁর বিদূষী স্ত্রী মরহুমা নীলুফার কায়সার ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন । তিনি ৩ জন যোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত কন্যা সন্তান রেখে গেছেন, যারা শিক্ষা ও যোগ্যতায় সমাজের উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত ও প্রতিষ্ঠিত । মরহুমের বড় মেয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান সানিয়া জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি । বর্তমানে ওয়াসিকা আয়েশা খান আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সার ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও ১৯৯৯ সালে রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
মূলত আতাউর রহমান খান কায়সার ছিলেন আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও সৃজনশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন। ওয়ান ইলেভেলেনের সময় অনেক বাঘা বাঘা নেতারা সংস্কার বাদী হলেও কায়সার সাহেব শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল ছিলেন। সংবাদ সম্মেলণ করে নেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সোচ্ছার ছিলেন তিনি। অবিচল ছিলেন দল ও নেত্রীর প্রতি যা সারাদেশের আওয়ামী লীগের কাণ্ডারীরা বুঝতে পেরেছিলেেন।
তিনি দেখতে যেমন বিশালদেহী ছিলেন, তেমনি ছিলেন একজন বিশাল হৃদয়ের মানুষও। যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি লড়েছিলেন সেই একই আদর্শ নীতিবোধ থেকে এক চুলও বিচ্যুত না হয়ে আমৃত্যু আদর্শিক রাজনীতি করে গেছেন তিনি। তাঁর মতো নির্লোভ দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ আজ সমাজে খুবই বিরল। নির্মোহ, সদালাপী, নিরহংকারী, ভদ্রলোক হিসেবে তাঁর স্মৃতি সকলের মনে চির অম্লান থাকবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে আতাউর রহমান খান কায়সার মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম । কায়সারের মত জ্ঞানী, সজ্জন, অভিজাত রুচির রাজনীতিবিদ হাতে গোনা মাত্র। তিনি ছিলেন কবি ও শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক।
১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক এই কামনা করছি । লেখক সম্পাদক সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলা