২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৮:৪৪/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি আদায় স্থগিত করুন -নগর ছাত্রলীগ

     

 

একাদশ শ্রেণীতে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত সকল প্রকার ফি আদায় স্থগিত করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর। এই সংক্রান্তে এক যুক্ত বিবৃতিতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও এ সময়ের মধ্যে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন অধিভুক্ত কলেজ সমূহে দ্বাদশ শ্রেণীতে ৭০০০ টাকা ভর্তি ফি আদায়ের বিষয়টিকে ‘জুলুম’ হিসাবে উল্লেখ করে তা পরিত্রানের আহবান জানানো হয়।
নগর ছাত্রলীগের এক যুক্ত বিবৃতিতে এসময় বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের শিক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসাবে এ বছর চট্টগ্রাম মহানগরের সকল কলেজের অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় বন্ধে নগরীতে যে ৬ টি অভিযোগ বাক্স বসানো হয়েছিল তাতে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকমহল ৪৬টি কলেজের ভর্তি দূর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জমা দেয়। যা যাচাই বাছাই করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়কারী ৪৬টি দূর্নীতিবাজ কলেজের তালিকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব জিল্লুর রহমান চৌধুরী আগামী ১৯ জুলাই জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে এ সকল কলেজের প্রধানকে তলব করেন।
নগর ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসময় আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ১৯ জুলাই অনুষ্টিত হতে যাওয়া বৈঠকে এ বিষয়ে ন্যূনতম একটা সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষকে আহবান করে বলছি, ১৯ জুলাই পর্যন্ত সকল প্রকার ভর্তি ফি সংক্রান্ত লেনদেন স্থগিত করুন।
এসময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে নগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, আপনাদের নৈতিক অবস্থানের সাথে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর সকল পর্যায়ের নেতা কর্মী সাথে আছি। আপনাদের সহযোগিতাও আমাদের প্রয়োজন। চট্টগ্রাম মহানগরের কলেজ সমূহের সাথে এ সময় কোন প্রকার লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হয় এসময়। কলেজের পক্ষ থেকে ভর্তি ফি জমা দেয়ার আল্টিমেটামের বিষয়টির কোন আইনত ভিত্তি নেই বলেও জানান এই দুই ছাত্রনেতা।
নগর ছাত্রলীগের দেয়া বিবৃতিতে এসময় নগরীর কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়ের করা উচ্চ আদালতের রিট আবেদন ও স্থগিতাদেশের বিষয়টি কলেজ কতৃপক্ষের ‘অর্থ লোপাটের’ কৌশল হিসাবে মন্তব্য করেছেন। এই ইস্যুতে কলেজে কলেজে ঘেরাওয়ের কর্মসূচী নিয়ে নগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনাও দিয়েছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply