২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:৪৯/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু

     

নওগাঁর নিয়ামতপুরে অগুনে দগ্ধ হওয়ার একদিন পর গৃহবধু তামান্ন খাতুন (২২) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টায় নিজ বাড়িতে মারা যান তামান্না। তামান্না উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের মাকলাহাট বাসিন্দাপাড়ার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। তামান্না চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রসুনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তামান্নার সাথে ৪ বছর আগে ইসমাইলের সাথে বিয়ে হয়। তামান্না স্বামী ইসমাইলের সঙ্গে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। আড়াই মাস আগে ইসরাত জাহান তাসফিয়া একটি মেয়ে জন্ম নেয় তাদের ঘরে। মেয়ে জন্ম নেওয়ার পর থেকে মানষিক সমস্যায় ভুগছিলেন তামান্না। এরপর বিভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দিয়েও মানষিক সমস্যা ভালো করা সম্ভব হয়নি। এমনবস্তায় বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে বাড়ীর দোতলা একটি ঘরে তামান্না দরজা লাগিয়ে গ্যাসলাইট দিয়ে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে তামান্না মারা যান। তামান্না স্বামী ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনার সময় বাড়ীর বাইরে গরুকে পানি খাওয়া”ছিলেন। আগুনের ধোয়া দেখতে পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে ঘরের দরজা
ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে তামান্নার শরীরের বিভিন্ন পুরো পুড়ে গেছে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাশ্ববর্তী গ্রাম ললিপুকুরে কবিরাজের বাড়ীতে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে বাড়ী নিয়ে আসা হয়। নিহতের স্বামী ইসমাইল আরো জানান, সন্তান
জন্ম নেওয়ার পর থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। আমি ও আমার শশুুড় তাকে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করা”ছিলাম। ইতি পূর্বে সে আরো দুই বার নিজের শরীরে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল। নিহত তামান্নার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ের সংসার ভালই চলছিল। আড়াই মাস আগে সন্তান হওয়ার পর থেকে মেয়ের মাথার সমস্যা সৃষ্টি হয়। মানুষিক সমস্যার কারণেই আমরা আমাদের মেয়েকে হারালাম। আমাদের কোন অভিযোগ নেই। নিয়ামতপুর শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) চিত্তরঞ্জন কুমার জানান, তামান্নার শরীরের ৭৫% শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনায় শুক্রবার বেলা ১১টায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান, নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির ঘটনা পরিদর্শণ ও তদন্ত করেন। নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, নিহত গৃহবধুর বাবা ও স্বামীর পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকলেও মরদেহটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মানুষিক সমস্যার কারণেই তিনি নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply