১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:২৭/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১০:২৭ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে ভেজাল কীটনাশকের মূলহোতাকে ধরে ছেড়ে দিল পুলিশ

     

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীতে ভেজাল কীটনাশক, ঔষধ ও গাড়ি জব্দ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) । উক্ত মালের মালিককেগ্রেফতারের পর অদৃশ্য কারনে ছেড়ে দিলো মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ১৩ জুলাই ( মঙ্গলবার) বেলা আনুমানিক ১২ টায় নগরীর নওদাপাড়া ( আমচত্বর) এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) । অভিযানে পঞ্চাশ বস্তা ভেজাল কীটনাশক, ঔষধ, গাড়ি সহ গাড়ীর ড্রাইভারকে আটক করা হয়। ড্রাইভারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদ করে উক্ত ওষুধের মালিকে তথ্য শনাক্ত করেন। ভেজাল ওষুধের মালিক শাহিন আক্তারকে মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজারে নিজ দোকান থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসা করে আরও দুই জনের নাম উঠে আসে। পরে বাকী দুইকেও আটক করে পুলিশ। এরপর শুরু হয় শাহীনকে ছাড়ানোর তদবির। পরে মোটা অংকের উৎকোচণে শাহীনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরের দিন রাজশাহী ডিবি কার্যালয়ে ফলাও করে প্রেসব্রিফিং করে তুলে ধরা হয় ভেজাল কীটনাশক সহ গ্রেফতার ৩ জন। উল্লেখ “যারা এই কীটনাশক উদ্ধার সম্পর্কে অবগত ছিলেন, বা ঘটনাস্থলে ছিলেন তাদেরকে প্রেসব্রিফিং এ দাওয়াত করা হয়নি”। উক্ত প্রেসব্রিফিং এ বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের ঐ টিম বিকেল ৫.৩০ টায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার আমচত্ত্বর মোড় চেকপোস্ট স্থাপন করে বর্ণিত ট্রাকটি আটক করে। এরপর ট্রাকের চালক মোঃ সোহেল রানা ও তার সঙ্গী মোঃ আশিক (২০)কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারে না। এরপর ট্রাক তল্লাশী করে ৪,৭২,৮৫০ টাকা মূল্যের ২৪৫ টি কার্টুনে ২৪৫০ কেজি বাসুডিন ডায়াজিনন ১০ জি ভেজাল কীটনাশক ঔষধ উদ্ধার হয় এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে কীটনাশক বহনকারী ট্রাকটি জব্দ করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার দেওপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ এছার উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাহাবুব আলম (৩৩), হাট গাঙ্গোপাড়া গ্রামের মোঃ দুলালের ছেলে মোঃ আশিক (২০) ও বানাইপুর গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমানের ছেলে মোঃ সোহেল রানা (২৬)।বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর মিডিয়া পাড়ায় আলোচনা সমালোচনা চলছে। কেনই বা ভেজাল ওষুধ মালিকে আটক করা হলো, আর কেনই বা তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। এবিষয়ে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ- পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েলের নিকট জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি এমন হওয়ার কথা নয়, আমি জানিনা জেনে দেখবো। এনিয়ে রাজশাহীর সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল চরম দূঃখ প্রকাশ করেছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply