২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:১৫/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের দাফন কবে?

     

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও দগ্ধ হয়ে নির্মমভাবে নিহত ৪৮ শ্রমিকের মরদেহ দাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া নিরীহ শ্রমিকদের মরদেহ বেওয়ারিশ হয়ে পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরদিন থেকে পরবর্তী দু-তিন দিন স্বজনের আহাজারিতে ঢামেক মর্গের চারপাশ ভারি থাকলেও গত দু’দিন সেখানে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।

ঢামেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করার সময় ডিএনএ নমুনা হিসেবে পাজরের হাড় সংগ্রহ করেন।

এছাড়া সিআিইডির ক্রাইম ইউনিট তাদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে নিহত শ্রমিকদের স্বজন দাবীদার বাবা, মা এবং সন্তানের কাছ থেকে ডিএনএ-এর নমুনা হিসেবে রক্ত ও লালা সংগ্রহ করেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে গত কয়েকদিন মর্গ এলাকার চারপাশ ভারি থাকলেও বর্তমানে মর্গ এলাকাজুড়ে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। মর্গের সামনে লম্বা করিডোরের মতো রাস্তা একেবারে ফাঁকা। পুলিশ যে ঘরটিতে বসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন সেটিও প্রায় শূন্য।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একটি মরদেহের সুরতহাল তৈরিতে ব্যস্ত পুলিশ সদস্যরা জানান, সিআইডি রোববার বিকেল পর্য়ন্ত স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করলেও এখন আর তারা নেই। বাইরে কয়েকটি প্রিন্ট করা কাগজে লেখা রয়েছে, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় আরও কোনো স্বজন ডিএনএ নমুনা দিতে চাইলে মালিবাগ সিআইডি অফিসে গিয়ে দিতে হবে।

ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, ‘প্রথমদিন থেকেই মরদেহগুলো দ্রুত দাফনের জন্য পুলিশকে পরামর্শ দিলেও এখনো কোনো সাড়া পাননি।’সবটুকু জানতে ক্লিক করুন

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply