২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:১৭/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

খোদ দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানা হয়নি আজও : আওয়ামী লীগে বিষফোঁড়া, অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড!

     

* বিব্রত দল ও সরকার। *দুঃসময় ও দুর্দিনের নেতাকর্মীদের অসন্তোষ। *সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে দলে বিপর্যয়ের চরম আশঙ্কা। ত্যাগীদের মূল্যায়ন জরুরী
বিশেষ প্রতিনিধিsharethis sharing button
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাফল্য ও গৌরব ম্লান করে চলেছে দলের অভ্যন্তরে উড়ে এসে জুড়ে বসা হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারী গোষ্ঠী। এদেরকে দলের নেতাকর্মীরা বিষফোঁড়া বলেই মনে করছেন। টানা এক যুগের মতো দলটি ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, সুবিধাবাদী, আওয়ামী লীগের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ব্যাপক সংখ্যক ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নাম লিখিয়েছে। নাম লিখিয়েই তারা ক্ষান্ত নয়, দলের নানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে চলেছে এবং বাগিয়ে নিচ্ছে নানা অনৈতিক সুবিধা।
আওয়ামী লীগ নামধারী এ গোষ্ঠীটির কারণে উপমহাদেশের প্রাচীনতম এ দলটির সুনাম, ঐতিহ্য ও মর্যাদা ধসে পড়ছে বলে মনে করছেন নানা পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। দল ও সরকারে কৌশলে অনুপ্রবেশ করে এসব অশুভ শক্তি এখন এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে এদের দাপটে দুর্দিনের ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় কেন্দ্র হতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠলেও তাকার্যকর হতে দেখা যায়নি। মূলতঃ ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটে দলটিতে। এ সময় কেন্দ্রীয় ও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতারা নিজেদের স্বার্থে, দল ভারি করার উদ্দেশে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনির দল ফ্রিডম পার্টির নেতাদেরও নিজ দলে ঠাঁই দেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেওয়া দলটি চলতি বছর সফলভাবে ৭২ বছর পূর্তি শেষে ৭৩ এ পদার্পণ করেছে এ বছর। সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও নানা অর্জনের দল আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে দলটি। বিগত দিনে মানুষের মৌলিক অধিকার ও দাবি আদায়ে রাজপথে রক্ত ঝরেছে বহু নেতাকর্মী ও সমর্থকের। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর খুনি মুশতাক, স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদ, ‘৯০ পরবর্তী বেগম খালেদা জিয়া ও ২০০৭ এর ১/১১ তে সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর অগণিত নেতাকর্মী। দলের সভাপতিসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জেলে বন্দি, হামলা-মামলার মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঘর ছাড়া করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। সবকিছু ছাপিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ‘৯৬ এর ১২ জুন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বমহিমায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। শুরু হয় দেশকে নতুন করে বিনির্মানের পরিকল্পনা। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের প্রতিবন্ধক কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলসহ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করে আওয়ামী লীগ সরকার। তারপর মাঝখানে ২০০১ এর শেষের দিক হতে ২০০৮ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আবারও ক্ষমতার বাইরে আওয়ামী লীগ।
নানা সংগ্রাম, রক্তের বিনিময়ে ২০০৮ এর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয় আওয়ামী লীগ। সেই থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর তৃতীয় বারের মতো সরকারে আওয়ামী লীগ। গত ১২ বছরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন নানা অর্জন এসেছে সরকার ও দলের। প্রচলিত আইনের আওতায় বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে জাতির পিতার খুনিদের, হয়েছে একাত্তরের মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার, দেশ হয়েছে কলঙ্কমুক্ত। একের পর এক উন্নয়ন সাফল্যে এগিয়ে যেতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক সুনাম। কিন্তু সে সুনাম ও ঐতিহ্যের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড গোষ্ঠীটি।
মূলতঃ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের হাত দিয়েই বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও সরকারে অনুপ্রবেশ ঘটে বেশি। দেশের উত্তর হতে দক্ষিণ, পূর্ব হতে পশ্চিম সব জায়গায় ক্ষমতাসীন সাংসদ ও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুপ্রবেশকারীরা কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এরকম কিছু লোমহর্ষক উদাহরণ রয়েছে, যাতে পিলে চমকানোর মতো। খোদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় খালেদ মাহমুদ ভুইঁয়া নামে ফ্রিডম পার্টির এক ক্যাডারকে, তাকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়ের অভিযোগ উঠে যুবলীগের তদানিন্তন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে। নানা অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ফ্রিডম পার্টির কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে মদদ দেন ওমর ফারুক চৌধুরী ও ইসমাইল হোসেন সম্রাট। সেই ফ্রিডম খালেদ পুরো ঢাকা শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, প্রতিপক্ষকে গুম, হত্যা করে দল ও সরকারের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। তার নেতৃত্বে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের ক্লাবে গড়ে তোলা হয় ক্যাসিনো। রিজেন্টের শাহেদ, নরসিংদীর পাপিয়া ও তার স্বামীর নামও এসে যায় অপকর্মের তালিকায়। দল ও পদবি কে পুঁজি করে ব্যাপক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের  নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে তারা। জি কে শামীমের মতো লোক যে কি না বিএনপি নেতা মীর্জা আব্বাসের শিষ্য সুযোগ মতো আওয়ামী লীগে নাম লেখিয়ে চালাতে থাকে অপকর্ম- যার দায় এসে বর্তায় দল ও সরকারে। কথিত আছে রিজেন্টের শাহেদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে মাসোহারা দিতেন এবং তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুগ্রহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে প্রেষ্টেজিয়াস উপকমিটি- আন্তর্জাতিক উপ কমিটির সদস্য পদ ভাগিয়ে নেন এবং নিজেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিজ্ঞজন রুপে তুলে ধরে টিভি টকশোতে আমন্ত্রিত হতেন নানা সুবিধার বিনিময়ে।
অতি সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার একটি ঘটনা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সেখানকার উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়, তাও আবার খোদ ঢাকার বারিধারার এক বাসায়, সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এমনি বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে বিভিন্ন জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সমূহে। যখনই উপজেলা নির্বাচন কিংবা ইউনিয়ন নির্বাচন আসে তখনই শুরু হয় দল বদল প্রক্রিয়া, দলে সুকৌশলে ঢুকে পড়েন অনুপ্রবেশ কারিরা, হাইব্রিডরা। অভিযোগ রয়েছে স্হানীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে তখন অন্য দল হতে আসা লোকদের নমিনেশন প্রদান করেন এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে জিতিয়েও আনেন। আওয়ামী লীগের বিগত কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে একটি জাতীয় পত্রিকার রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয় কোন জেলায়, কোন উপজেলায়, কোন ইউনিয়ন/ওয়ার্ডে কতজন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ কারি এবং এদের অনেকেরই নাম, পিতার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নং সহ তুলে ধরা হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণে ২ এমপি ও মহানগরেও  ২ এমপি অন্যদল থেকে অনুুপ্রবেশ করেছে।কাউন্সিল ছাড়া কমিটি গুলো গোপন লেনদেনে পদবীধারী নেতা বনে গেছে অনেকে। এই রকম অনেক নেতা ডলার ও ইয়াবাসহ পুুলিশের কাছে ধরাও পড়েছে। ত্যাগীরা এসব দেখে শুধু আফসোস করছে। উত্তর কাট্টলীর জনৈক মুক্তিযোদ্ধা স্হানীয় এমপির রোষানলে পড়ে  প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।ওই মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে বাড়ী ছাড়া হয়ে সপরিবারে অন্যত্র মানবেতর দিন যাপন করছে। ফলে চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের  মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এ রিপোর্টকে মনগড়া আখ্যা দিয়ে অস্বীকার করেন। পরে ঠিকই টনক নড়ে তাদের, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ও তার নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে ৫০০০ জনের একটি তালিকা করেন,পরে আরও যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তীতে ১৫০০ জনের চূড়ান্ত তালিকা হস্তান্তর করেন দলের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের নিকট। আওয়ামী লীগের ৮ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের উপর দায়িত্ব অর্পিত হয় এসব অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে দল হতে বহিষ্কার ও ক্ষেত্র বিশেষে আইনের আওতায় আনার, কিন্তু পরবর্তীতে কোন একটি বিভাগের কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা যায় নি। খোদ দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানা হয়নি আজও।
অনুপ্রবেশকারীরা কৌশলে দলে ঢুকে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে স্বার্থ সিদ্ধি করছে, কোথাও কোথাও কোন কোন নেতার ‘মাইম্যান’ হিসেবে ও কাজ করেন তারা,তদ্বির, টেন্ডারবাজি ও করেন নেতার আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে। বিভিন্ন পদ বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে এসব অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড দের বিরুদ্ধে।
এসব অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী ও আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচকদের পরিবারের সদস্য ও রয়েছে। এসব অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডদের তালিকা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা হতে দলের গুলিস্তানসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের দফতরে পাঠালেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে, এতে তৃণমূলের প্রকৃত নেতাকর্মীরা চরম হতাশ, দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা অনেকেই এখন আর আগের মতো সক্রিয় নয় রাজনীতি তে। দুর্দিন ও দুঃসময়ের অনেক নেতাকর্মী তাদের দুঃখ ও কষ্টের কথা দলের সাধারণ সম্পাদক সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জানানোর কোন সুযোগই পাচ্ছে না। দল আজ ১৩ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায়,অথচ রাজনৈতিক কোন পদায়নও পাচ্ছে না অনেক যোগ্য নেতাকর্মী। অনেকে আবার বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ও সন্তানের পড়াশোনার খরচ মিটাতে অক্ষম হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য প্রার্থী হয়ে আছে, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না প্রত্যাশিত সাহায্য, অথচ দলে মাত্র কয়েক বছর, কয়েক মাস আগে এসেও রয়েছে রাজকীয় হালে। এটি দলের দুঃসময়ের ও দুর্দিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মনোকস্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার ত্যাগী নেতাদের সামনে নিয়ে আসতে তাগিদ দিয়েছেন, কিন্তু তার নির্দেশও উপেক্ষিত হচ্ছে। বিভিন্ন সময় দলে অনুপ্রবেশকারীদের যারা গডফাদার তাদের বিষয়ে আলোচনা হলেও, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ ও দাবি থাকলেও তা হয়ে উঠেনি। দলীয় সভাপতি এসব অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বরাবরই। তিনি অনেকবার এসব অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিগত ১২ বছরের অধিককাল ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ ও সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ সম্মানের আসনে সমাসীন, সুনাম রয়েছে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দল ও দেশকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দিন-রাত পরিশ্রম করে, কিন্তু দলে এসব অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডরা তাদের নানা অপকর্মের মাধ্যমে সরকার ও দলের সামগ্রিক অর্জনকে ধুলিষ্মাৎ করতে মরিয়া। সরকার ও দলকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
এখনই যদি তৃণমূল হতে কেন্দ্র পর্যন্ত এসব অশুভ শক্তিকে দূরীভূত করা না যায় তাহলে দল ও সরকার আবারও মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply