২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:০৬/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ১০:০৬ অপরাহ্ণ

ডিবির এক এএসআইর বিরুদ্ধে মাসে কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

     

   চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক এএসআই সবিরুল খানের বিরুদ্ধে সিএমপির ডিবির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাসে কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিবিরি  এই  এএসআই বিরুদ্ধে সিএমপির কমিশনারের কাছে গত ১১ মার্চ মো. সাইফুল আজিম নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই  সবিরুল খানের চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এএসআই সবিরুল খান ২০০০ সালে সিএমপিতে যোগদান করার নানান অভিযোগে বদলী হলেও সে অজ্ঞাত কারণে আবারো চলে আসে।
 ফলে সে গড়ে তোলে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিশাল একটি সিন্ডিকেট। প্রতিটি থানা জোনে  নিয়োগ দেন চাঁদা আদায়ের জন্য ক্যাশিয়ার। থানার ক্যশিয়ারগুলোও সবিরুল খান নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। পুলিশ কমিশনারসহ সিএমপির সিনিয়র অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে গত ২০ বছর ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সবিরুল খান পদের দিক দিয়ে ছোট অফিসার হলেও রয়েছে বিপুল টাকার তার অবৈধ সম্পদ। এই সম্পদের সাথে তার বেতন ভাতার সাথে রয়েছে বিশাল ফারাক।
নগরীর দুই হাজার স্পটসহ মাদক, ইয়াবা, হোটেল, গেস্ট হাউস,পতিতালয়, চোরাকারবারিসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলো তার নিয়ন্ত্রনে অবৈধ কারবার চালাচ্ছে। সবিরুল খান নিজে ডিবি পুলিশের হেড ক্যাশিয়ার হিসেবে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাসোহারা নিয়ে আসলেও তার নিজস্ব নিয়োগকৃত বিভিন্ন থানায় ও এলাকায় প্রায় ১৬জনের একটি ক্যাশিয়ার সিন্ডিকেট রয়েছে। থানার ক্যাশিয়ারগুলোর সাথেও সে প্রধান  সমন্বয়ক হিসেবে চাঁদা নিয়ে থাকে। সবিরুল খানের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায় হলেও সে নিজকে গোপালগঞ্জের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অন্য পুলিশ অফিসারদেরও ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সবিরুলের বিরুদ্ধে: গত ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সিএমপির কোটি টাকার মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা লেনদেনের ঘটনায় অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া নগরীর আসাদগঞ্জের ওসমানিয়া লেইনে হাজী ফারুকের কাছে থেকে মাসিক ৪০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার পরও গত বছরের ৭ এপ্রিল সবিরুলের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম দোকানে ঢুকে মামলায় ফাঁসানের ভয় দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
Aa
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply