১৮ এপ্রিল ২০২৪ / ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:১০/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৯:১০ অপরাহ্ণ

চসিক নির্বাচনে বিএনপির কেউ নির্বাচিত হননি!

     

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ভোটে কাউন্সিলর নতুনের জয়জয়কার হয়েছে। ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ১৯টিতে জয় নতুনদের।

এদিকে এবারই প্রথম চসিকের কোনো ওয়ার্ডে জয় পাননি বিএনপির কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী। এটি নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল।

চসিকের এবারের নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৯ ওয়ার্ডে। নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন। আর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত করা হয়।

এদিকে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের তুলনায় বিজয়ী নৌকার ভোটের ব্যবধান হয়েছে অস্বাভাবিক বেশি। ধানের শীষের ৭.২২ গুণ ভোট পেয়েছে নৌকা।

যত বৈধ হয়েছে, তার ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটই পড়েছে নৌকায়।

এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গঠনের পর ছয়টি নির্বাচনের মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেল আওয়ামী লীগ। আর এবারের নির্বাচনেই ভোটের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি।

কার ভোট কত

রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ভোট পেয়েছেন তিন লাখ ৭৯ হাজার ২৪৮ ।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের ধানের শীষে ভোট পড়ে সাত ভাগের একভাগ মাত্র। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৭৯ ভোট

অর্থাৎ প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান তিন লাখ ২৭ হাজার ৭৬৯। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এত বেশি ব্যবধানে কেউ জেতেননি।

বুধবার দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে গোলযোগের কারণে। ওই দুই কেন্দ্রের ভোট দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের চেয়ে কম হওয়ায় সেগুলো আর নির্বাচনী ফলাফলে কোনো গুরুত্ব বহন করে না।

অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ৯৮০ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম। যদিও তিনি এই নির্বাচন বর্জন করেছেন।

চতুর্থ হয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনসুর। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৬৫৩ ভোট।

পঞ্চম স্থানে আছেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের এম এ মতিন। তার ভোট দুই হাজার ১২৬।

ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট।

আর ভোটের হিসেবে সবার নিচে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৮৮৫।

নির্বাচনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৬ জন।

এর মধ্যে সাত জন মেয়র প্রার্থী মিলে ভোট পেয়েছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ৪৮০টি। আর দুটি কেন্দ্র স্থগিত ও কিছু ভোট বাতিল হওয়ার পর ২৩ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছে, এটা বলা যায়।

এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে যে ব্যবধান হয়েছিল, এবার তার চেয়ে হয়েছে অনেক বেশি।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ভোট পান চার লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১টি। বিএনপির এম মনজুর আলম ভোট পান তিন লাখ চার হাজার ৮৩৭ ভোট। ব্যবধান ছিল এক লাখ ৭০ হাজার ৫২৪ ভোট।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply