২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:৫৮/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

মুজিববষের্র অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর উপহার পার্বত্য খাগড়াছড়ির ২৬৮ পরিবার ‘স্বপ্নের ঠিকানায়’

     

 

শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি

‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মুজিববষের্র এমন অঙ্গীকার পূরণের পথে বাংলাদেশ সরকার। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ পেয়েছে ভূমি ও গৃহহীন ২৬৮ টি পরিবার।

শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা হলরুমে মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন এবং সরকারের এই যুগান্তকারি প্রদক্ষেপের জন্য সাধারণ ভূমিহীন মানুষ সমান তালে এগিয়ে যাবে বলেও পত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব সাইদ মোমেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো.আবদুল আজিজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা মতিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, মেয়র মো. রফিকুল আলমসহ উপকারভোগী পরিবারবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

সমগ্র বাংলাদেশে একযোগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর খাগড়াছড়ি সদরে প্রথম দফায় ৩৫ টি উপকারভোগী পরিবাররে মাঝে ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রকল্পের সুবিধাভুগিদের মাঝে ভুমি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে মহালছড়ি উপজেলায় ১৫ টি, দীঘিনালা ৩০টি, পানছড়ি ৫৫টি, রামগড় ২২টি, গুইমারা ১০টি, মাটিরাঙ্গা ২৬টি, মানিকছড়ি ৫৫টি ও লক্ষীছড়ির ২০টি ঘরের চাবি পাবে পরিবারগুলো।

প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়, ভূমি মন্ত্রনালয়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পে অসহায় পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলেছে পাঁকা ঘরে। প্রতিটি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত করে ঐ জমির ওপর তৈরি করা প্রতিটি ঘর। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দু’টি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দাসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply