২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:১৯/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:১৯ অপরাহ্ণ

 লামায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক উন্নয়ন কাজে অনিয়ম

     

লামা সংবাদদাতা

লামায় ১১ কোটি টাকা ব্যায়ে শহর থেকে দক্ষিণ দিকে তিন কি: মি: সড়ক উন্নয়নে অনিয়ম, দুর্নীতি। সড়কের পুরাতন মেকাডম তুলে নিয়ে পুনরায়, সাবব্যাচের কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে। কাজে কচ্ছপ গতির ফলে দু’মাসের অধিক সময় ধরে  সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা। শরুতেই ২৪ ফুট প্রশস্ত সড়কের ৬ ফুট অংশ বক্স কার্টিন-বালি ফিলিং না করে মাটির উপর বালি দিয়ে সাবব্যাচ করেছে। বক্স কার্টিন-বালি ফিলিং ছাড়াই সাব ব্যাচ দিয়ে কম্পেক্ট করা রাস্তার পশ্চিম দিকের ৬ ফুট অংশ টেকসই হবেনা বলে জানান স্থানীয়রা। শহর অভ্যান্তরে প্রায় ৫ শ্ ফুট সড়কে এই অনিয়ম করেছে প্রকাশ্য ।

জানাগেছে, তিন কি:মি: সড়ক ও একটি রিটার্নিং ওয়াল নির্মানে মোট ১১ কোটি টাকার ব্যায়ে কাজটি রিমি কনাষ্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। এর মধ্যে এক কি:মি: আরসিসি, বাকী দু’কিলোমিটার ওভারলে। গত সেপ্টেম্বরে রাস্তার এক পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চলাচলের বিকল্প পথ না রেখে শুরু থেকে অপরিকল্পিত কাজের ফলে পথচারীদের দুর্ভোগ দেখা দেয়। যতইদিন যাচ্ছে শহরগামী মানুষের দুর্ভোগ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূমুর্ষ রোগি, নারী-শিশু, বৃদ্ধরাসহ যাতায়তে সর্ব সাধারণ জুঁকি নিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অনৈকগুলেঅ মোটর সাইকেলের স্ট্যাটার অকেজু, বিদ্যুতচালিত অসংখ্য বাইক নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানাগেছে।

কাজের দুর্বল তদারকিতে এই বেহাল অবস্থাকে দায়ি করছেন সাধারণ মানুষ। জানাগেছে রিমি কনাস্ট্রাকশন একটি স্বয়ং সম্পূর্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় ‘নামে তাল পুকুর’। নির্মানের আধুনিক সরঞ্জাম ও দক্ষ জনবলের অভাবে কাজের ধীরগতি, একই সাথে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চলাচলে দুর্ভোগের শিকার অনেকে দাবী করেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উপরির বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যাক্তিদেরকে ম্যানেজ করে ১১ কোটি টাকার কাজটি যেনতেনভাবে করে চলছে।

ঠিকাদার কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেকটা ‘দায়সারা’ ভ‚মিকায় কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অপরদিকে এর অপবাদ সইতে হচ্ছে স্থানীয় নেতাদেরকে। অপরিকল্পিত রাস্তা উন্নয়নের কাজে বিগত প্রায় দু’মাস যাবত দুর্ভোগে পতিত মানুষ নেতৃস্থানীয়দেরকে দায়ি করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগিরা বলছেন; ‘নেতারা বিষয়টির প্রতি নজর দিচ্ছেন না’। এদিকে আগামী ২৭ নভেম্বর পার্বত্য  চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী, এলজি আরডি সচিবসহ সরকারি সফরে লামা আসবেন। অনেকেই মনে করেন এর আগে হয়তো সড়ক উন্নয়ন কাজের নামে জনভোগান্তি কিছুটা কমবে। অন্যথায় প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রী ও সচিব জনদুর্ভোগের স্বাক্ষস বাস্তবতার চিত্র দেখতে পাবেন।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: জাহেদ উদ্দিন বলেন, ঠিকাদারের গাপিলতি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের যোগ্য তদারকির অভাবে কাজে পুরাতন মালামাল ব্যাবহারসহ প্রকাশ্যে নানান অনিয়ম হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়ার আহবান জানান তিনি। সড়ক ও জন পথ বিভাগের উধ্বর্তন কর্মকর্তা বান্দরবান নতুন যোগদানের ফলে তেমন অবগত নন। তবে তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply