১৮ এপ্রিল ২০২৪ / ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:৫৩/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

শ্রদ্ধা ও স্বরণে আখতারুজ্জামন চৌধুরী বাবু

     

 

এম. আলী হোসেন

স্মৃতি শক্তি প্রখর, নাম ধরে ডাকতে পারতেন অসংখ্য মানুষকে।একবার পরিচয় হলেই আপন করে নিতেন নিজ কৌশলে।তিনি হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।অসংখ্য গুনে গুনাম্বিত এই মানুষটি এপারে ছিলেন যশ – খ্যাতিতে ভরপুর ।সবসময় মানুষ আর মানুষ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।মানুষ দেখলেই খুশী হতেন তিনি । নাম ধরে ডাকলেই ওই নামের মানুষটির কদর বেড়ে যেত। তিনি আমাকে নাম ধরে ডাকলেই আমার খুব ভালো রাখত। এই কারণে বার বার তাঁর পেছনে ছুটা চলা।এই চলার এখনো শেষ হয়নি।

২০১২ সালে ৪ নভেম্বর খুব ভোরে জানলাম বাবু ভাই আর নেই।স্নেহের ‘সায়েম’ আমাকে প্রথম জানাল এই মহা দুঃসংবাদটি।মনে হলো আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।কয়েকজন নেতাকে ফোন করলাম । কল রিসিভ হলো না, ঘুমে এখনো অনেকে আবার কারো কারো ফোনই বন্ধ।চারিদিকে অন্ধকার মনে হলো।চট্টলার এক বটবৃক্ষের জীবনাসন আমাকে বিষম রকম ভাবিয়ে তুলল। ইতিপূর্বে খবরটি প্রচার হয়ে গেল।রিদুয়ানুল করিম  সায়েম সাহেব বর্তমানে বাবুপুত্র মাননীয় ভুমিমন্ত্রীর এপিএস। তিনি তখন এপিএস না হলেও বাবু পরিবারের খুবই নিকটজন ও বিশ্বস্তদের মধ্যে একবারেই শীর্ষে।

আনোয়ারার উপকুলীয় এলাকা রায়পুর ইউনিয়নের  খ্যাতিময় গ্রাম হলো গহিরা । এই অঞ্চলের মানুষেরা সকালে পূর্বাকাশের সূর্য দেখে বিকালে দেখে বিস্তীর্ণ বঙ্গোপসাগর। তাই এখানকার মানুষের মন আকাশ ও সাগরের মতো, কথাটি বলতেন বাবু ভাই। ‘৯১ ঘূর্ণিঝড়ের সময় তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের পার্লামেণ্ট মেম্বার।তখন ক্ষমতায় বিএনপি । বিএনপি বাবু ভাইকে কুতুবদিয়ায় দায়িত্ব দিলেন। কিন্তু বাবু ভাই কুতুবদিয়া যাননি।সরকারী সাহায্য ছাড়াই নিজ সামর্থ্য ও দলীয় সহযোগিতা নিয়ে তিনি উপকূলবাসীর পাশে দাঁড়ালেন।নিয়ে আসলেন প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনাকে।দেখালেন উপকূলবাসীর দুঃখ দূর্দশা। নেত্রীর সাথে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাজেদা চৌধুরীসহ আরো অনেক জাতীয় নেতা। তখন প্রতিটি পরিবারে বাবুর সম পরিমান অর্থ প্রদান এখনো এখানকার মানুষ মনে রেখেছে।

বাবু নেই এপারে।কিন্তু আনোয়ারার এ বাড়ী ওই বাড়ী সবখানে রয়েছে অগণিত বাবু ভক্ত – অনুরক্ত  ।দিন দিন ডালপালা বাড়ছেই । জীবিত বাবুর চেয়ে যেন মৃত্ বাবু অনেক শক্তিশালী। গোটা দেশেই তার অবস্হান রয়েছে।বাবু পরিবার আনোয়ারা শুধু নয় চট্টগ্রামের জন্য বিশাল এক বটবৃক্ষ।প্রতিবছর ৪ নভেম্বর আসলেই বিনম্র শ্রদ্ধা ও স্বরণে আনোয়ারা জুড়ে অন্যরকম পরিবেশ তৈরী হয়। নেতার প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে পালিত হয় মৃত্যুবার্ষিকী।এবারও ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে মহান নেতার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।হে আল্লাহ, ওপারেও আমাদের নেতাকে খুশীতে রাখুন, দিন জান্নাতুল ফেরদৌস । লেখক: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  আনোয়ারা ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও সম্পাদক সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলা

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply