২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৪৫/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ২:৪৫ অপরাহ্ণ

বশেমুরবিপ্রবিতে “বাঁধন” র ২৩তম বর্ষপূর্তি নানা আয়োজনে

     

সজিবুর রহমান
গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান সংস্থা বাঁধন এর ২৩তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
বাঁধন হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান সংস্থা।সংস্থার সদস্যরা স্বেচ্ছায় নিজেদের রক্ত দিয়ে মানবসেবা করে থাকেন।তাছাড়া রক্ত সংগ্রহেও সদস্যদের ভূমিকা রয়েছে।এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর।বর্তমানে দেশের ৫৩ টি জেলায় ৭৫ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁধন এর কার্যক্রম চলছে।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে “বাঁধন” র ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়।এছাড়া,প্লাকার্ডের মাধ্যমে স্থিরচিত্র সংগ্রহ,বাঁধনের পথচলা নিয়ে আলোচনা সভা ও ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষে ২৩ টি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ এর সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান টিটো, বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের উপদেষ্টা শশী প্রাসাদ শীল এবং রাসেল খান,বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের জোনাল প্রতিনিধি সাকিব হুসাইন হৃদয়, সহ-সভাপতি সোনিয়া সুলতানা টুম্পা এবং সহ-সাধারন সম্পাদক সাব্বির খান আকাশ।এছাড়াও এ অনুষ্ঠানের আহবায়ক হিসাবে ছিলেন মো.শাহ-আলম এবং যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন বিশ্বাস এবং বিভিন্ন রক্তদাতা সদস্য এবং কর্মীগণ।
বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের সদস্য ও বাংলা বিভাগ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়ামিন খান বলেন,বাঁধন একটি সেচ্ছাসেবী রক্ত দানের সংগঠণ।যার মূলমন্ত্র হল: একের রক্ত অন্যের জীবন,রক্তই হোক আত্মার বাঁধন।
বাঁধনের পথচলা শুরু ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কিছু মানবিক মানুষের হাত ধরে। অনেকের ধারনা বাঁধন এর কাজ রক্ত দান  করা। কিন্তু এটা তাদের মূল কাজ নয়। বাঁধনের কাজ হল মানুষের মধো রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং রক্ত দানে উৎসাহিত করা যাতে মানুষ রক্তের অভাবে মারা না যায়।রক্তের প্রয়োজনে যাতে খুব সহজেই তার পাশের প্রতিবেশি,আত্মীয়দের কাছ থেকেই সাহায্য টা পেতে পারে।বাঁধন চায় সবাই একদিন তাদের রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জানবে,সবাই সেচ্ছায় রক্ত দান করবে।বাঁধনের কর্মী রা অনেক বেশি ত্যাগী মানসিকতার হয়ে থাকে যেটা আমি বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিট এর কর্মী দের খুব কাছ থেকে দেখে বুঝতে পেরেছি। বশেমুরবিপ্রবি তে ২০১৫ সালে বাঁধনের সূচনা হয়, এবং বর্তমানে এটি ক্যাম্পাসের একটি অন্যতম সংগঠন হিসাবে পরিচিত।
বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের অন্য একজন কর্মী ও বাংলা বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওম্মে শীলা বলেন,বাঁধন মূলত স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন। এখানে রক্তদাতা বলতে সবাইকে যে রক্ত দিতেই হবে এরাকম নয়। কিন্তু রক্তদানের জন্য সুন্দর মানসিকতা থাকতে হবে, অথবা রক্ত সংগ্রহ করার ব্যাপারে আগ্রহী থাকতে হবে। উল্লেখ্য বাঁধনে যারা যুক্ত থাকেন তারা স্বেচ্ছায় কাজ করেন এক্ষেত্রে কাউকে কখনো জোর করা হয় না। ১৯৯৭ সালের ২৪ শে অক্টোবর বাঁধন এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশের ৫৩ টি জেলার ৭৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাঁধন এর সংগঠন রয়েছে, এবং বাঁধন এর কর্মীরা আগ্রহের সহিত মানবতার কাজ করে যাচ্ছে।২৪ অক্টোবর বাঁধনের ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কেক কাটা সহ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
বাঁধন নিয়ে অনেক প্রত্যাশা বাঁধনের সকল কর্মীদের এবং বাঁধনের যারা শুভাকাঙ্খী সবার‌ই। আশা রাখি দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বাঁধন এর সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হবে। বাঁধনের মাধ্যমে প্রত্যেকটা জেলার মানুষ রক্তদানে উৎসাহী হবে। এবং সামাজিক সেবামূলক কাজে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণে উৎসাহী হবে। আর একটা কথা না বললেই নয়, বাঁধনে যারা কাজ করে অর্থাৎ বাঁধনের যারা কর্মী তারা সকলেই একে অপরের প্রতি অত্যন্ত সহযোগী এবং অবশ্যই খুবই বিনয়ী।
সবশেষে এটাই বলতে চাই বাঁধনের পথচলা শুভ হোক, সকলের ভালোবাসায় বাঁধন আরো সাফল্যমন্ডিত পথ অতিক্রম করুক।
উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ২৯ মার্চ থেকে বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়।বাঁধন এর ২৩ তম বর্ষপূর্তিতে বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের কর্মীদের চাওয়া বাঁধন তার চলার পথে সাফল্যমণ্ডিত হোক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply