সাংবাদিক এনামের প্রচেষ্টায় জনতার নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারে ফিরলো এক শিশু
মুহাম্মদ রবিউল আলম রবিন
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাংবাদিক এনামের প্রচেষ্টায় পাবলিকের নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়ে বাবার বুকের ফিরলো চুরির অভিযুক্ত এক শিশু।
আজ ১৪ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ৮ঃ৩০ এর দিকে উপজেলার ১০নং হাইলধর ইউনিয়নের উত্তর হাইলধর জামে মসজিদের দান বাক্সের থালা ভেঙে টাকা নিয়ে ফেলার সময় ১২ বছর বয়সি এক শিশুকে মসজিদের ইমাম সাহেব ধরে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে এলাকার লোকদের কাছে সোপর্দ করে। শিশুটি তার নাম ঠিকানা সঠিক ভাবে বলতে না পারায় প্রফেশনাল চোর ভেবে এলাকার লোকজন তাকে রোধের মধ্যে বেঁধে রেখে তার উপর চালাতে থাকে চড়-থাপ্পড়। তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক এনাম উপস্থিত হয় এবং লোকদের শিশুটিকে মারতে নিষেধ করে। কিন্তু লোকজন এনামের কথা না শুনে উল্টা তার উপর ক্ষেপে যায়। এই পরিস্থিতিতে এনাম আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ কে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে মিনিট ২০ এর মধ্যে আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি ফোর্স এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
থানা সূত্রে জানা যায়,শিশুটি আনোয়ারা থানার ওষখাইন গ্রামের ছেলে। তার নাম হুসাইন (১২)। লেখা-পড়ায় অমনোযোগী হওয়ার কারণে তাকে মাদ্রাসায় আটকে রাখা হলে সে ওইখান থেকে পালিয়ে যায় এবং একদিন উপোষ থাকার পর ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে মসজিদের দান বাক্স থেকে টাকা চুরি করে।
এই বিষয়টি সম্পর্কে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, সকাল ৮ঃ৪৫ এর দিকে হাইলধর থেকে আনোয়ারা মানব জমিনের প্রতিনিধি এনামের ফোন আসে, তিনি শিশুর বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে জানান। বিষয়টি জেনে ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য থানা থেকে একটি টিম পাঠানো হয়। এবং তারা গিয়ে আধ ঘন্টার মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং তাকে তাঁর বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিক এনামুল হক নাবিদ বলেন, পেশাগত জায়গার আগে আমি একজন মানবিক মানুষ। মানবিকতার জায়গা থেকে আমি এই ভূমিকা রেখেছি। বর্বতার যে অপসংস্কৃতি সেই জায়গায় দায়িত্ববোধ মনে করে আমি প্রশাসনের সহায়তায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রুখে দিতে পেরে নিজেই গর্ববোধ করছি।