২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৫৭/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বন্দর দেশের ফুসফুস।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কর্ণফুলী নদীর ভূমিকা অতুলনীয় – তাজুল ইসলাম

     

রানা সাত্তার

আজ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদী বেপরোয়া দখল-দূষণে উদ্বেগ প্রকাশ করে নদী রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দেয়া,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর কালেকশান,শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়ন ও অবৈধ দখলদারিত্ব নিয়ে সমন্বিত সভা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধ কল্পে নদী সংশ্লিষ্ট ষ্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রানালয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক(এম.পি),গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ (এমপি), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ,সিটি কর্পোরেশান প্রশাসক সুজনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় যোগ দেন।

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রানালয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রতিটি সংস্থাকে তাদের প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নদীর দূষণ রোধ এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর দূষণ-দখল রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা সমূহকে আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী নদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।বন্দর দেশের ফুসফুস।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কর্ণফুলী নদীর ভূমিকা অতুলনীয়। তাই ভবিষ্যতে এ নদীকে একদিকে দূষণ ও অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো বৃহৎ সাইজের জাহাজ গমনাগমনের সুবিধা তৈরি করতে হবে। ব্যবসা বাণিজ্যের লাইফলাইন খ্যাত কর্ণফুলী নদীকে নান্দনিক রূপে ফিরিয়ে এনে অর্থনীতিতে আরো অধিক অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির আহবান জানান তিনি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply