২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৫৫/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

এবার ওসি প্রদীপ ফাঁসলেন আরেকটি ভয়ংকর মামলায়

     

বহুল বিতর্কিত টেকনাফের জনমনের আতংকিত ওসি প্রদীপ ফাঁসলেন আরেকটি ভয়ংকর মামলায়।মামলাটিও কথিত বন্দুকযুদ্ধের।সাদ্দাম হোসেন নামে এক নিরহ যুবককে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপসহ ২৮ জনকে আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ১৮ আগস্ট দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-২) এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে নিহতের মা গুল চেহারা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী  মো. আব্দুল বারী।ওই মামলয়  টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমানসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে ২৭ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে।তন্মধ্য ৬ জন এস আই, ৮জন এএসআই, ১১ জন কনষ্টেবল রয়েছেন ।  এছাড়া  ২ জন দফাদারও এই মামলার আসামী  রয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী মো. আব্দুল বারী বলেন, গত ৪ জুলাই বাদী গুল চেহেরার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও মো. জাহেদ হোসেনকে পুলিশ বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে পুলিশ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দেয়া না হলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

পরে স্বজনরা জমি-জমা ও স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে পুলিশকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার পর মো. জাহেদ হোসেনকে গত ৬ জুলাই একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। টাকা দেয়ার পরও সাদ্দাম হোসেনকে ছাড়া হয়নি।

বাদীর এ আইনজীবী বলেন, এদিকে গত ৭ জুলাই গভীর রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বোনিয়া বড়ছড়া এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন ও আব্দুল জলিল নামের দুইজন গুরুতর আহত হয় বলে পুলিশ দাবি করে। এ ঘটনায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকের বরাতে মৃত্যু দেখানো হয়েছে।এসব আসামিদের মধ্যে নুরুল আমিন ছাড়া অন্যরা হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি এবং টেকনাফ থানায় কর্মরত রয়েছে। বাদী গুল চেহেরা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার সুলতান আহমদ ওরফে বাদশার স্ত্রী।

অন্য আসামিরা হলেন- এএসআই মো. আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভুঁইয়া, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মো. আমির হোসেন, এএসআই কাজী সাইফুদ্দিন, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মাঈন উদ্দিন, এএসআই মাজাহারুল ইসলাম, এএসআই নঈমুল হক, এএসআই মিশকাত উদ্দিন, এএসআই রামধন চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল আবু হানিফ, কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. আজিজ, কনস্টেবল দ্বীন ইসলাম, কনস্টেবল মো. বোরহান, কনস্টেবল মো. জসিম উদ্দিন, কনস্টেবল আব্দু শুক্কুর, কনস্টেবল মো. শেকান্দর, কনস্টেবল মহি উদ্দিন এবং টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুল আমিন ওরফে নুরুল্লাহ।

 

 

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply