২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:২৮/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৯:২৮ অপরাহ্ণ

নওগাঁয় অবৈধ দখল থেকে পৈত্তিক সম্মত্তি উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন

     

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ওয়ারিশগন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ভুক্ত ভোগী নজরুল ইসলাম পৈত্তিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি বর্তমানে নওগাঁ শহরস্থ শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছেন। তিনি আরো বলেন তার বাবা আব্দুর রহমান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার গুলবনিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদের ছেলে। তিনি ১৯৭২ সালের পর নওগাঁয় এসে ব্যবসা
বানিজ্য শুরু করে। ইতো পুর্বে তার ১ম স্ত্রীর ২ ছেলে ও ৩ কন্যা থাকা অবস্থায় আব্দুর রহমান ১৯৮৪ সালে ২য় বিয়ে করলে ঐ স্ত্রীর গর্ভে ২ মেয়ে ও ১ সন্তান জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে চকপাথুরীয়া এলাকায় .০৯৯২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সুফি সজিব নামে সুপার মার্কেট নির্মান করেন। গত ১৩ জুন ২০১৩ ইং সালে আব্দুর রহমান মৃত্যু বরন করলে তার ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ১ম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সুকৌশলে নাম বাদ দিয়ে নওগাঁ পৌরসভা থেকে তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের নামে মোট ৪ জনের ওয়ারিশান সনদপত্র গ্রহন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নওগাঁ পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৩ই মার্চ ১৪ সালে ২য় স্ত্রীকে দেওয়া ওয়ারিশান সনদপত্র বাতিল করে ১১ জনকে ওয়ারিশ করে সনদপত্র প্রদান করেন। কিন্তু ২য় পক্ষের ছেলে সজীব পৌরসভার সনদপত্র না মেনে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সনদপত্র বাতিল করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে আদালতে নাম মাত্র মামলা করে
দীর্ঘদিন থেকে কালক্ষেন করছে। অপরদিকে উক্ত সম্পত্তির দাবিদার নজরুল ইসলাম গং ওই সম্পত্তি বার বার বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ২য় পক্ষগন বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে দেয় ফলে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় ও প্রশাসনের নিকট বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোন সুবিচার পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply