২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১:০০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১:০০ পূর্বাহ্ণ

পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান ওলামা লীগের

     

কোবিড ১৯ জাতীয় কমিটি কর্তৃক ঢাকাসহ ৪ নগরীতে পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে ওলামা লীগ।

ওলামা লীগ নেতারা বলেন,’করোনা অথবা যানজটের অজুহাতে কুরবানীর পশুর হাট রাজধানীর বাইরে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ৯৮ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান, হক্কানী-রব্বানী আলিম সমাজ তথা ওলামা লীগ বরদাশত করবেনা। কুরবানীর হাটের সময় ১০ দিন করা হোক। রাস্তাঘাট বন্ধ করে ঢাকা মহানগরে ২২১টি মন্ডপ হতে পারলে কুরবানীর হাট মাত্র ২১টি কেন? প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২ শত কুরবানীর হাট বসানো হোক।

মঙ্গলবার ১৪ জুলাই১২ দফা দাবীতে আওয়ামী ওলামা লীগ সহ-সমমাননা ১২ টি দলের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন,’পবিত্র কুরবানির হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে পবিত্র কুরবানী নিরুৎসাহিত করলে এবং ফ্লাটবাড়িতে পবিত্র কুরবানী নিষিদ্ধ করলে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের দেশের সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। পাশাপাশি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাশ হবেনা, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হবেন কুরবানীদাতা। কাজেই ডিজিটাল হাট বসানো যাবেনা। পবিত্র কুরবানীর হাট বন্ধ করলে, কুরবানীর উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করলে, ফ্লাট বাড়ীতে অথবা অন্য কোথাও কোরবানী নিষিদ্ধ করলে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই দেশে মুসলমানগণ গৌর গোবিন্দের পদক্ষেপ মনে করে ক্ষুব্ধ হবে। যার সুযোগ নিবে জামাত-জোট-হেফাজত। কাজেই নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানীকে নিষিদ্ধ করা বা বাধাগ্রস্থ করা বা স্পট নির্ধারণ করার কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা।

বক্তরা বলেন, খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদে উল্লেখ আছে “সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন কিছু নেই”। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত। ইফার ছোঁয়াচে ফতওয়াকে ১০০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ।

কুরবানীর ঈদ তিন দিন কাজেই আসন্ন কুরবানীতে সরকারীভাবে ১২ দিন ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন,’কুরবানীর হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান-বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ মুক্ত করা হোক। তথাকথিত ডিজিটাল হাট করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম। তাই ডিজিটাল হাটের নামে হারাম কাজ ও প্রতারণার ফাঁদ বন্ধ করতে হবে।

তারা বলেন,’বিএনপি-জামায়াত চায় লকডাউনের নামে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে। একইভাবে তাদের এজেন্টরা চাচ্ছে করোনার অজুহাতে পবিত্র কুরবানী বাধাগ্রস্থ, দেশের পোল্ট্রি খামারীদের মাঠে বসাতে। সরকারকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।

বক্তারা বলেন, সউদী ওহাবী মুরতাদ শাসকরা একের পর এক ইসলাম বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। তারা মুসলমানদের চরম শত্রু ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্বের আহবান জানাচ্ছে। পবিত্র মদীনা শরীফ জিয়ারত বন্ধ করেছে। পবিত্র হজ্জ, পবিত্র ওমরা, পবিত্র তারাবীহ নামায নিষিদ্ধ করেছে। অপরদিকে ৬০০ সিনেমা হল, সিনেমা, নারীদের বোরকা উঠিয়ে বিকিনি পড়াসহ সব ধরণের বেলেল্লাপনা চালু করছে। বাংলাদেশের সরকারের উচিত হবে- এসবের তীব্র নিন্দা জানানো ও কঠোর প্রতিবাদ করা। এদেশের যেসব নামধারী মালানা সউদী ওহাবীকে অনুসরণ করে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। করোনার অজুহাতে সারাদেশে পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করা, ফাক ফাক করে নামাজে দাড়ানো, ১২ জনের বেশি মুছল্লী না হওয়া, মাঠে ঈদের জামায়াত করতে না দেয়া ওহাবী-জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়া। যা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল জলীল, মাওলানা শোয়াইব আহমদ গোপালগঞ্জী প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply