২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৫৩/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

কোভিড পরীক্ষার ফি আরোপ “মরার উপর খারার ঘা” এবং দ্রুত বাতিলের দাবি

     

চরম অব্যবস্থাপনায় ও অপ্রস্তুতির মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা শুরু হয়। পরীক্ষায় কিট সংকট, ল্যাবগুলিতে জনবল সংকট, ১৫-২০ দিন পরীক্ষার ফল প্রদান, লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে পরীক্ষা দিতে না পারা, রেজাল্ট পেতে বিঢম্বনা, পরীক্ষার ফলে নানা ত্রুটি, একজনের ফলাফল আরেক জননের নামে ইস্যু করা, চিকিৎসক ও নার্সের জন্য পিপিই ও মাস্ক সংকট, পিসিআর মেশিন সংকট, সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স সংকট, রোগী ভর্তি করছে না। তাছাড়াও অক্সিজেন, আইসিইউ, সাধারন বেড এবং সর্বোপরি কোভিডের সাথে জড়িত ওষুধের আকাশচুম্বি দাম ও বাজার থেকে উদাও। এধরনের বহুবিধ সংকটের মধ্যে দিয়ে দেশে কোভিড চিকিৎসা চলছে। আর যেখানে টেস্ট করাতে ও ফলাফল পেতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই সেখানে এই অব্যবস্থাপনা দূর না করে হঠাৎ করে সাধারন রোগীদের কোভিড পরীক্ষায় ফি নির্ধারন করলেন সরকার। বিষয়টি দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কারন সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদ এ রাস্ট্রের নাগরিকদের চিকিৎসা ও মহামারীকালে যাবতীয় সুবিধা রাস্ট্র নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। তাই অভিলম্বে কোভিট পরীক্ষার ফি গ্রহনের নির্দেশনা বাতিল করে পরীক্ষা ও চিকিৎসায় যাবতীয় জঠিলতা দূল করে রাস্ট্রের নাগরিকদের সংকটকালীন সময়ে জরুরি এই চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। ৪ জলাই ২০২০ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন করোনা মহামারীর কঠিন দুর্যোগে একদিকে মানুষ কর্মহীন, আয় রোজগার হারিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে দারুন ভাবে হীমসিম খেতে হচ্ছে। সেখানে টেস্টের পরীক্ষার ফি সাধারণ রোগীদের জন্য “মরার উপর খারার ঘা” হিসাবে আর্বিভুত হয়েছে। সরকার একদিকে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোভিড আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ৮-১০ লক্ষ টাকা সরকারী অনুদান দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে। আর সংকটকালীন সময়ে রাস্ট্র নাগরিকদের বিপদে পাশে না থেকে উল্টো পরীক্ষা ফি নির্ধারন করে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ফি নির্ধারণ শুধু অমানবিক নয়, অগ্রহনযোগ্য ও কল্যানকামী রাস্ট্রের কাছে আশা করা যায় না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাস্ট্রের সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবিদের জন্য পৃথক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হলেও সাধারণ রোগীদের ভাগ্য সেই জরাজীর্ণ সরকারী হাসপাতাল ছাড়া কিছুই নাই। সেখানে আবার ভিআইপি, ভিভিআইপি নামে সব সুবিধাগুলি উপরতলার মানুষরা দখল করছে। চিকিৎসা সর্বজনীন না হলে এ অবস্থার পরিত্রাণ নেই।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন করোনার মহামারী কালে সরকার প্রধান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনে ২০ ঘন্টা পরিশ্রম করে সাধারণ জনগনের দুর্ভোগ লাগবে অভিরাম পরিশ্রম করছেন। আর সেখানে সরকারের একশ্রেণীর কর্মকর্তারা নানা ফর্মূলা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়াতে নানা ফন্দি ফিকির করছেন, যা প্রধান মন্ত্রীর কঠিন পরিশ্রম ও ত্যাগকে ম্লান করার জন্য নীল নকসা কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply