২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৪৯/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

জুলাই মাসের শুরু থেকে চালু হচ্ছে আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল

     

১৯৯৮ সালে জনসেবার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের নানুপুর জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়ার তৎকালীন প্রধান পরিচালক মাওলানা জমির উদ্দিন (রহ.) ফটিকছড়িতে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামের এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। ২০১১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার সন্তানেরা বাবার স্মৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন। তাঁর সাত ছেলে একসঙ্গে বসবাস করেন।এখন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জমির। জানা যায় মূলত মায়ের নির্দেশেই তারা জনসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর বি-ব্লক ফুল চৌধুরী পাড়ায় আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর তৈরি করা ৭০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি আরো বলেন প্রয়াত ব্যারিস্টার সলিমুল হক খান মিল্কীর কন্যা সন্তান নাসরিন বাকী গড়ে তুলেছিলেন নার্চার হাসপাতাল। যেখানে পঙ্গু ও অসহায় মানুষদের সেবা দেওয়া হতো। ১৯৯৪ সালের ১ এপ্রিল টিনের ঘরে শুরু হয়েছিল চিকিৎসাসেবা। পরে দিনে দিনে এই হাসপাতাল পাকা ছয়তলা ভবনে উন্নীত হয়। জানা যায় ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে নাসরিন বাকী তার নার্চার হাসপাতাল দান করেন আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কে। এখন তার দান করা নার্চার হাসপাতাল টি গড়ে তোলা হয়েছে ‘আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে, এখন এই হাসপাতাল টি ব্যবহার করা হবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য। এই হাসপাতালে ৭০ টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রতিটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। হাই ফ্লো নাসেল ক্যানোলাও আছে। ১০টি আইসিইউ শয্যা তৈরির কাজ চলছে। তিনটি ভেন্টিলেটরও অনুদান হিসেবে শিগগিরই পৌঁছাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ছয়জন চিকিৎসক ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধাও থাকবে। এবং আমাদের কে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ!

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply