১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:৫৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কোন অজুহাত নয়, জলাবদ্ধতা দুর করাই হোক শেষ কথা -আবদুচ ছালাম

     

জলাবদ্ধতা লাঘবের প্রশ্নে চট্টগ্রামের মানুষ আর কোন অজুহাত শুনতে চায় না। আমরা দেখতে চাই আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ অনেকাংশে কমে গেছে। জলাবদ্ধতা লাঘবে প্রয়োজনীয় কাজ সিটি কর্পোরেশন করবে, নাকি ওয়াসা করবে অথবা সিডিএ করবে এই ভেবে সময় নষ্ট করার অবস্থা এখন আর নেই। প্রাকৃতিক নিয়মে বর্ষা হবেই, নদীর জোয়ার ভাটা ছিল এবং থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী ঘেরা আমাদের প্রিয় চট্টগ্রাম। এর বিশাল জলরাশি আমাদের সম্পদ, আমাদের দোষে এ সম্পদ আমাদের জন্য আজ সংকট হয়ে ওঠেছে। চাক্তাই খাল, মহেষ খালসহ অসংখ্য খাল চট্টগ্রামের আশীর্বাদ ছিল। এদের সাথে বিরুদ্ধাচরন করে আমরা অভিশাপ ডেকে এনেছি। নদী, খাল আর সাগরের সাথে আদিকাল হতে চলে আসা চট্টগ্রামের মিতালীকে আশীর্বাদ হিসেবে ফিরে পেতে হলে খালের উপর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও সকল প্রকার অত্যাচার, অনাচার ও আবর্জনা নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। খালের নিয়মিত খনন ও নিয়মিত আবর্জনা পরিস্কার কাজকে নির্বিঘ্নে করতে খাল হতে উভয় পাড়ের অন্তত ১২ ফুট থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত ছেড়ে দিতে হবে রান্তা করার জন্য। তাহলে, খালের উপর অবৈধ দখলদার বলতে আর কোন শব্দ উচ্চারিত হবে না। এই খালকে ভালবেসে সাজিয়ে রাখতে পারলে জলাবদ্ধতা নিরসন, যোগাযোগ ও পন্য পরিবহনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে এই খাল। চাক্তাই খালের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে উপরোক্ত কথা গুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও গত দুইদিন ধরে জোয়ারের পানিতে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ ও বাকলিয়ার সিংহভাগ প্লাবিত হওয়ার কথা শুনে তিনি মঙ্গলবার দুপুরে পায়ে হেটে পানি মাড়িয়ে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং আজ দুপুরে জোয়ারের সময় নৌকায় চেপে চাক্তাই খালের কোরবানীগঞ্জ, মিয়াখান নগর, বাদামতলী, মাষ্টারপুল হয়ে দেওয়ানবাজার পর্যন্ত সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন, কে.বি.এম শাহজাহান, জসিম উদ্দিন শাহ, নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, প্রকৌশলী আহম্মদ মাঈনুদ্দিন, প্রকৌশলী রাজিব দাশ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা বাহাদুর প্রমূখ। পরিদর্শন শেষে তিনি উপস্থিত মিডিয়া কর্মী, স্থানীয় জনসাধারন ও ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলেন এবং নানান প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় তিনি, যে কোন জলাবদ্ধতা সংকট মোকাবেলা করা হবে বলে দৃঢ়তার সাথে বলেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয়ের চাক্তাই-কালুরঘাট আউটার রিং রোড প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রকল্পের সার্ভে ও অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং অতি শীঘ্রই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি সকল মহলের দোয় ও সহযোগিতা কামনা করেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply