২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:৫৬/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

আত্মহত্যা করা বলিউডের জনপ্রিয় ১০ তারকা

     

বলিউডের জনপ্রিয় তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। ১৪ জুন মুম্বাইয়ে নিজ বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার মরদেহ। কেন আত্মহত্যা করেছেন তিনি সেই কারণ খোঁজা হচ্ছে। শুধু সুশান্তই নন, বিভিন্ন সময় আত্মহত্যা করেছেন বলিউডের আরও একঝাঁক তারকা।

দিব্যা ভারতী: বলিউডে খুব বেশিদিন কাজ করার সুযোগ হয়নি তার। এক বছরে তার এক ডজন ছবির রেকর্ড আজও ভাঙতে পারেনি কেউ। দিব্যার মৃত্যু হয় মাত্র ১৯ বছর বয়সে। ১৯৯৩ সালের ৭ এপ্রিল নিজের ভারসোভার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।

সিল্ক স্মিতা: আইটেম গার্ল থেকে অভিনেত্রী হয়ে উঠতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু মুম্বাইয়ের নিজের আবাসনে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। কেন করেছিলেন আত্মহত্যা? হতাশা, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নাকি অন্য কিছু, জানা যায়নি আজও।

গুরু দত্ত: মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তার মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত। মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করার কারণে নাকি মৃত্যু হয়েছিল ‘কাগজ কে ফুল’ খ্যাত এই অভিনেতা-পরিচালকের। তার ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, মৃত্যুর আগের দিনও বেশ হাসিখুশি ছিলেন গুরু। আত্মহত্যা, নাকি ভুলবশত ওভারডোজ? আজও জানা যায়নি।

জিয়া খান: জুহুর ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল তার সেই সময়ের বয়ফ্রেন্ড সুরুজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। জিয়া যখন আত্মহত্যা করেন, তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জিয়ার মা দাবি করেছিলেন, পরিস্থিতির চাপে পড়ে জিয়া বাধ্য হয়েছিলেন এমন একটা চরম সিদ্ধান্ত নিতে। জিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুইসাইড নোট।

অর্চনা পাণ্ডে: ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাইের ভারসোভাতে নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মডেল অর্চনা পাণ্ডের। তার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে বয়ফ্রেন্ড ওমর পাঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন অর্চনা।

নাফিসা জোসেফ: ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই ‘বিউটি কুইন’ও ভিজে নাফিসার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মুম্বাইয়ে তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। ব্যবসায়ী গৌতম খান্ডুজার সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা পাকাপাকি হয়েও ভেস্তে যায়। এর পরই অবসাদে চলে যান নাফিসা এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

শ্রীদেবী: ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান শ্রীদেবী। দুবাইয়ের এক সাততারা হোটেলের বাথটব থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে লেখা ছিল, জলে ডুবে মৃত্যু।

কুলজিৎ রণধাওয়া: এই মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ২০০৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। জুহুতে তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দেহ উদ্ধার হয়। হিপ হিপ হুররে, কোহিনূরের মতো জনপ্রিয় শোতে ছিলেন তিনি। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করেছিলেন কুলজিৎ।

পারভিন ববি: আশির দশকে বলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী পারভিন ববি। তার শেষ জীবন কেটেছে বড়ই কষ্টে। অত্যধিক মদ্যপান, সম্পর্কে ভাঙন তাকে ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হতে দেয়নি। এক সময় পুরুষ হৃদয়ে তুফান তোলা পরভিনের মৃত্যুদিন যে কবে, তা জানেন না কেউ। ফ্ল্যাটের দরজার সামনে খবরের কাগজ আর দুধের প্যাকেট জমছিল দিনের পর দিন। সন্দেহজনকভাবে প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা হয়। উদ্ধার করা হয় মৃত পারভিনকে।ইত্তেফাক থেকে

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply