২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৩৩/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

রেড জোন এলাকায় সবাইকে ঘরে ইবাদত করার নির্দেশ

     

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খুব খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি তুলে নিয়ে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই সময় ঐসব এলাকাগুলোতে সবাইকে ধর্মীয় উপাসনালয়ে না গিয়ে যার যার ঘরে এবাদত করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শনিবার ( ১৩ জুন) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বর্তমান বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনা ভাইরাস রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যে কোন ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সাধারণ জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়, ভয়ানক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামায আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামায আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

উল্লেখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোন মুসুল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

একইসাথে উল্লেখিত এলাকাসমূহে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব-স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এসময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দু’আর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না। সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধমীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোন প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply