অযৌক্তিকভাবে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বাম জোটের মানববন্ধন
সারাদেশে অযৌক্তিকভাবে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, চট্টগ্রাম জেলা। আজ বেলা ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।বাসদ নেতা রায়হান উদ্দিনের সঞ্চালনা এবং সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অশোক সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোঃ শাহ আলম, গনসংহতি চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, বাসদ নেতা মহিন উদ্দিন, বাসদ(মার্ক্সবাদী) নেতা আসমা আক্তার প্রমুখ। বক্তারা বলেন বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, এটা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের উপর মড়ার উপর খাড়ার ঘা।অবিলম্বে ভাড়াবৃদ্ধির এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহবান জানানো হয়।
বক্তারা আরো বলেন, সারাদেশব্যপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন উর্ধ্বমুখী, তখন প্রয়োজন ছিল আরো কঠোর লকডাউন,কিন্তু সরকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য সকল বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে অফিস-আদালত,দোকানপাট, গণপরিবহণসহ সবকিছু খুলে দিয়ে জনগণকে আরো মৃত্যু ঝুকির মধ্যে ফেলেছে। উলটো বৃদ্ধি করা হয়েছে বাসভাড়া,যা সম্পূর্ণ জনবিরোধী।বাসের ভাড়া পূর্বেই যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল সেটাই অযৌক্তিক ছিল। সেই সময়ও জনগণ তা মানেনি। করোনা পরিস্থিতি যখন ভাড়া কমানো প্রয়োজন, তখন নতুন করে বাড়ানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বলেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলবে অর্থাৎ ৫০% সীট খালি রাখবে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে যে সরকার প্রশাসন, বিআরটিএ ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচলে এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের গাড়ী চালানো বন্ধ করতে পারে না তারা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ী চালাবে তা বোধগম্য না। তদুপরি সম্পূর্ণ অযৌক্তি ও অন্যায়ভাবে একতরফা মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাসের ভাড়া ৮০% বৃদ্ধি করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সেখানে আমাদের দেশে তেলের দাম কমানো ত হয়নি উপরন্তু বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। নেতৃবৃন্দ বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না করে বিভিন্ন সড়কে সরকারি টোল আদায় বন্ধ, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর দাবি করেন। তারপরও যদি মনে করেন বাস মালিকদের ক্ষতি হবে তাহলে পোষাক খাতসহ অন্যখাতে যেমন প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তেমন প্রণোদনা বা ভর্তুকী সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হোক। কোন মতেই জনগণের উপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো যাবে না। বক্তাগণ আগামী ২০/২৫ জুন পর্যন্ত লকডাউন জারি এবং জনগণের খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানেরও দাবি জানানো হয়।