লাখো মানুষের জানাযা ছাড়াই নিরবে চলে গেলেন পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন
প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী লাখো সমাগমের জানাযা ছাড়াই নিরবে চিরশায়িত হলেন লাখ লাখ মানুষের শ্রদ্ধা ও সম্মাণের অধিকারী আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিত্ব পীর কুতুব উদ্দিন ।চট্টগ্রামের দেওয়ান হাট বায়তুশ শরফ দরবারে মসজিদেরই পাশে ২১ মে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর মরহুম পীর শাহ সূফী আব্দুল জাব্বার রহ. এর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
জানাযায় নামাজের ইমামতি করেন আল্লামা মাওলানা কুতুব উদ্দিন (রহ.) এর একমাত্র ছেলে মাওলানা বেলাল উদ্দিন।জোহরের পর জানাযা-দাফনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোরেই জানাযা-দাফন্ন সম্পন্ন হয়।এই কারণেই জনসমাগম ছাড়াই এই মহান ব্যাক্তির নিরবে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
মৃত্যুর আগে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ এসেছে।এর আগে বুধবার ২০ মে বিকেল ৪টায় রাজধানীর আনোয়ার খাঁন মেডিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। তিনি ১ ছেলে ও ৬ মেয়ের জনক।
মাওলানা কুতুব উদ্দিন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ফাস্ট সিকুরিটি ব্যাংক লিমিটেড এর শরীয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য মাদরাসা, মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং বায়তুশ শরফ দরবারের পীর সাহেব ছিলেন।করোনা ভাইরাস আক্রান্ত থাকায় বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দীনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সীমিত পরিসরে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি টিমের তত্ত্বাবধানে তার দাফনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ভক্ত, শুভাকাঙ্খীদের সমাগম ঠেকাতে রাত থেকে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকসহ সব প্রবেশপথ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর আগে রাত দেড়টার দিকে তার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে এসে পৌঁছে।।
প্রসংগত বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দীন দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৮ মে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নগরীর মেট্রোপলিটন হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে পর দিন ১৯ মে ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। https://youtu.be/83_lojMHLe8