করোনা ভাইরাসজনিত মৃতদের জন্য কবর স্হান দানের ঘোষনা দিলেন এমএ রশিদ
বিশেষ প্রতিনিধি
সেবা’র নেশায় মেতে উঠেছেন তিনি।রাতদিন, ঝড়, বৃষ্টি, তুফান ও রমজানেও চলছে তাঁর এই সেবাকর্ম ।করোনা ভাইরাস জনিত দূর্যোগে আত্মমানবতার তাদিগেই এই পদচলা শুরু তাঁর।তখন থেকে রোগী পরিবহণ সেবা, অসহায়দের মধ্যে ত্রাণ বিলি, দূর্গত ও অভাগাদের আশ্রয় এবং স্বাস্হ্য সুরক্ষা সামগ্রি বিতরন সর্বোপরি করোনা ভাইরাসজনিত মৃতদের জন্য কবর স্হান দানের ঘোষনা দিয়ে তিনি সেবার পরিধি বাড়ালেন।এসবের কারণে তাঁর পরিচিতি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে জনপ্রিয়তাও।সোস্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে তাঁর প্রশংসা যেমন হচ্ছে তেমনি নিন্দুকেরা সমালোচনাও যে করছে না, তা নয়।সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে তিনি শুধু সামনেই এগুচ্ছেন।তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন আনোয়ারা থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকাস্হ চট্টগ্রাম সমিতির সদস্য এমএ রশিদ।
ত্রাণ ও স্বাস্হ্য সুরক্ষা বিলি, ইফতার প্রদান ও রোগী পরিবহন সেবা দিতে দিতে তিনি বহু মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারেন বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে কারো মৃত্যু হলে লাশ দাফনে কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে।এই সমস্যা সমাধানে তিনি ভাবলেন আর সিদ্ধান্তও নিলেন এবং ঘোষনাও দিলেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতক জায়গায় লাশ দাফনের জন্য দান করবেন।শুধুমা্ত্র করোনা ভাইরাস রোগে মৃত্যুদেরদের জন্য তিনি এই ঘোষনা দেন।জায়গাটি বারশত ইউনিয়নের পশ্চিম চাল মৌজায় অবস্হিত। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ লাখেরও বেশী।
শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দেড়শতের কাছাকাছি রোগীকে পরিবহণ সেবা দেন এমএ রশিদ। এসবের নাম ঠিকানা মোবাইল নং সবই সংরক্ষিত আছে তার নোটবুকে। করোনা ভাইরাসজনিত পরিবহণ সংকটকালে রোগীরা এই সেবা পান ও এখনো অব্যাহত আছে।এই সব রোগীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ।কেউ যায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে, কেউ যায় খুলশী ও এনায়েত বাজার ডায়াবেটিক হাসপাতাল , আবার কেউ যান আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালেও।আবার কাউকে কাউকে উল্লেখিত হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসতে হয় আনোয়ারার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অজপাড়া গাঁয়েও ।এর উপর ডেলিভারী রোগী যেমন আছেন তেমনি আছেন নানানভাবে ঝগড়াঝাটিতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যাক্তিও।গুরুতর আহত ব্যাক্তিরাও তাৎক্ষনিক পরিবহণ সুবিধা চেয়ে ফোনও করেন তিনি সেবাও দেন ।মাঝে মাঝে নিজ মাইক্রো, নোহা ছাড়াও সিএনজি অটো রিক্সাও ভাড়া করে দেন তিনি।এভাবে চলছে এমএ রশিদের রোগী পরিবহণ সেবা।