২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:২৯/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলে মরদেহ কবর দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত চারজন থাকবে

     

চট্টগ্রামে দুর্ভাগ্যবশত করোনা সন্দেহে  কেউ মারা গেলে দাফন ও দাহ করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা)।

মঙ্গলবার ( ৩১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বলেন, গত রোববার করোনা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আহ্বানে সরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিদের বিশেষ সমন্বয় সভায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এতে চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি এবং পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হয় এবং নগর পুলিশ, সিটি করপোরেশন. জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় করোনা প্রতিরোধে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সমন্বয় সভায় করোনা প্রতিরোধে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে—করোনাভাইরাসের সন্দেহজনক ব্যক্তির দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্ত হলে রোগীদের আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি, কেউ করোনাতে আক্রান্ত হলে সেই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়াসহ নানাবিধ সেবামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সেবা সংস্থা যৌথভাবে এই সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবে।

সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী।এছাড়া, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেলে যার যার ধর্মীয় রীতিতে সৎকার করাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এ জন্য নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগরে একটি খালি জায়গা ঠিক করা হয়েছে করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফন করার জন্য। এ ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিষয়ে সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মরদেহ কবর দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত চারজন থাকবে। যারা মৃতের গোসলসহ অন্যান্য সব কাজ করবেন। তারা যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেবিষয়টিও আলোচনায় আনা হয় সভায়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply