২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৫৩/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

প্রাণঘাতী করোনা ঝুঁকিতে হামের হানা খাগড়াছড়িতে এক শিশুর মৃত্যু আক্রান্ত ৩০

     

খাগড়াছড়ি, প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধেই, পার্বত্য খাগড়াছড়িতে হানা দিয়েছে হাম।
শনিবার রাতে দীঘিনালা উপজেলার দূর্গম রতিচন্দ্র কারবারী পাড়ায়, হামে ধনিতা ত্রিপুরা (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ধনিতা রতিচন্দ্র কারবারী পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আশংকাজনক অবস্থায় প্রান্তি ত্রিপুরা নামে এক শিশুকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঐ পাড়ায় একই রোগে আরো অন্তত ৩০জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুত এসব আক্রান্ত এলাকায় শিশুদের হাম টিকা দেয়া না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে দূর্গম হওয়ায় লোকজন সহজেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার সুযোগ পায়না। গত ২২ মার্চ থেকে এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার শিশুদের গায়ে প্রচন্ড জ্বর, গায়ে লাল ফোস্কার মতো দাগ এবং চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।

এদিকে রবিবার সকালে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেডিক্যাল টিম ও দীঘিনালা সেনা জোনের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হাম আক্রান্ত প্রান্তি ত্রিপুরার পিতা চরণ বিকাশ ত্রিপুরা জানান, গত ২২ মার্চ রোববার থেকে থেকে এলাকায় এ রোগ দেখা দেয়। গত বুধবার থেকে আমার মেয়ের শরীরে প্রচন্ড জ্বর আসে। চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। প্রসেল ত্রিপুরা (৭) এর মা স্বর্ণতি ত্রিপুরা জানান, গত দুদিন আগেও আমার ছেলে সুস্থ ছিলো। পরে হঠাৎ করেই আমার ছেলে আক্রান্ত হয়।

এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত সকল শিশুদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, অধিক আক্রান্ত এবং দূর্বল প্রান্তি ত্রিপুরা নামে এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঢাকায় এদের নমুনা পাঠানো হবে। পরবর্তী প্রয়োজনে এখানে জরুরী ভিত্তিতে বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে হামের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, ‘দূর্গম এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা কম এবং তারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। স্থানীয়দের মধ্যে টিকাভীতিও রয়েছে। এসব কারণে হামের প্রার্দুভাব বেড়েছে। তবে আক্রান্ত এলাকায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া ব্যবস্থা করা হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply