২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:০৮/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

করোনায় আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্হদের অন্যতম

     

করোনা নিয়ে সারা বিশ্ব যখন তোলপার তখনি এর কারন অনুসন্ধানে ব্যাস্ত বিশ্বের অনেক গবেষক , বিশ্লেষক , সংস্হা । কেউ বলছে তা শ্রষ্টার অসুন্তুষ্টির ফল, কেউ বলছে প্রকৃতির বিচার , কিন্ত আবার সবাই বলছে না এর পেছনে অন্য কোন কারন নিশ্চয় আছে আবার কেউ বলছে এটা মানব সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনীতি , ক্ষমতা এবং বানিজ্য নিয়ন্ত্রনে সুকৌশলে বানানো এক প্রকার জৈব রাসায়নিক ভাইরাস । অবশ্য শেষের যুক্তিটা অনেকটা স্ট্রং । পৃথিবীর ক্ষমতাধর রাষ্ট এবং শাসকগন এমনটি করতেই পারে যার পেছনে যুক্তি দেখলাম উহানের বাইরে এই ভাইরাস যায়নি । পৃথিবীর অনেক অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের প্রধানরা সংক্রমিত হলেও বেইজিং যেখানে চীনের ক্ষমতাধররা থাকেন  যা মাত্র ১১৫২ কিলোমিটার দুরে সেখানে সংক্রমিত হয়নি এমনকি সাংহাই ও না । আমাদের মুসলমান ধর্মান্ধ একটা শ্রেনী অবশ্যই প্রচার করে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন যে চীনে হাজার হাজার মানুষ করেনার ভয়ে মুসলমান হয়েছে এমনকি চীনের রাষ্ট প্রধান নিজে মসজিদে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন এমনকিছু ছবি ভাইরাল করে সন্তুষ্ট হয়েছেন কিন্ত এই ভাইরাস শুধু উহান ছাড়া কোথাও গিয়েছে তা জানা যায়নি । মানলাম তা প্রকৃতি বা শ্রষ্টার অসুন্তুষ্টি ।কোরিয়াতে প্রথম পাওয়ার সাথে সাথে তা দমানো গেল কিন্ত ইরান , ইতালী , স্পেন সবশেষে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য পারল না । শুনলাম কোরিয়ায় প্রথম যে ১০ জন সংক্রমিত হয়েছিল তাদের হত্যা করা হয়েছে । এই ভাইরাস কি বা কিভাবে বা কারা ছড়াচ্ছে (যদি এমনহয় )তা হয়তো অনেক বুঝার আছে তবে হিসেবের পালায় কারা লাভবান আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত এটা ভাবার বিষয় । বিশ্ব মার্কেট প্রতিনিধিত্বকারী মুদ্রার সংকট হয়ত আগামী কয়েকমাসের মধ্যে হারে হারে টের পাব । আমাদের মত দেশ যারা রপ্তানী পন্যের উপাদানের জন্য চায়না এবং বিক্রির জন্য আমেরিকা এবং ইউরোপে দৌড়াই তাদের জন্য তো বিশাল এক চ্যালেন্জ । এক সেক্টরের ৪.৫ মিলিয়ন শ্রমজীবি মানুষ আর এদের মালিকরা যারা ১০% প্রপিট করতে ঘাম ঝডায় যাদের নিজের উদ্যোগেই ৩৫ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ তারা যদি ডলার আনতে না পারে তবে আলিবাবার মাক্স পরে কি আমাদের পেট চলবে । আগামী ৬ মাস ইউরোপের বাজার পুরোপুরি সচল হবার কথা নয় তাই বায়ার নতুন কোন অর্ডার দিবে না অন্যদিকে লোকাল ব্যাংক ব্যাক টু ব্যাক এল সি তে পেমেন্ট দিয়েছে যা বায়ার পেমেন্ট না করা পর্যন্ত এডজাস্ট হবে না অন্যদিকে সব বায়য়ার পেমেন্ট এক্সটেনশান করেছে এমতাবস্হায় লোকাল ব্যাংক হিমসিম খাবে তারল্য সংকটে সব মিলিয়ে আমরা অনেক বেশী ক্ষতিগ্রস্হ ।এটা যদি জৈব রাসায়নিক যুদ্ধ যদি হয় তবে আমরা এই যুদ্ধের লক্ষ্য নয় তথাপি আমরা ভিকটিম । আল্লাহ আমাদের দেশকে রক্ষা করুন ।
জিল্লুর রহমান , সা: সম্পাদক , জাতীয় পেশাজীবী পরিষদ ।
সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স রিচার্জার।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply