২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:১১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:১১ অপরাহ্ণ

কানেকটিকাটে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ৩ জন আক্রান্ত ১৯৪ 

     

বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মারা গেছে ৩ জন। গত শনিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত এ নিয়ে কানেকটিকাটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে  ১৯৪ জনে। ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্রই। আতঙ্কে ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে জরুরি অবস্থাো অব্যাহত রয়েছে। চলাফেরও সীমিত করা হয়েছে। তবুও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। করোনা আক্রান্ত রোগঈর সংখ্যা।
কানেকটিকাটে ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে সর্বোচ্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।। সেখানে এ পর্যন্ত ১২২ রোগীর সন্ধান মিলেছে। এছাড়া লিচফিল্ড ৮, হার্টফোর্ড ২৯, নিউ হ্যাভেন ২৩, মিডলসেক্স ৫, টোলান্ড ৪, উইন্ডহাম ২ এবং নিউ লন্ডন ১ জন রোগীর খরর পাওয়া গেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানির সংখ্যা ২৩০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ১৮,৫০০ জনের বেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে নিউ জার্সি, ইলিনয় ও ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী বেশির ভাগ কর্মস্থল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। তবে মুদি দোকান, ওষুধের দোকান ও গ্যাস স্টেশনগুলোতে যাতায়াত করা যাবে।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো সব ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এর পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থেকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশিসংখ্যাক (৭,০০০) মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার দিন শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের জন্য এ সময়কে বড় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন। নিউইয়র্কের প্রতিবেশী রাজ্য নিউ জার্সি গত শুক্রবার থেকে ব্যক্তিগত কাজে যাতায়াত বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওয়াতায় সব খেলার টিম, বাস্কেটবল খেলোয়াড় পড়বে।
এ দিকে ক্যালিফোনিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসোম একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। জনবহুল এ অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী দুই মাসে রাজ্যের ৪০ মিলিয়ন লোকের মধ্যে অর্ধেকের বেশি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর লস অ্যাঞ্জেলেসের চিত্র প্রায় একই রকম। ইলিনয় শিকাগো রাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর। এখানের বাসিন্দাদের অবশ্যই ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। শুধু ওষুধ, খাবার আর ব্যয়ামের প্রয়োজনে বাইরে বের হতে পারবেন। নাভাদা অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক যোগাযোগ বন্ধ করেছে মঙ্গলবার থেকে। হাওয়াইতে বার, ক্লাব ও সামাজিক সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১০ জনের বেশি লোক সমবেত হতে পারবে না।
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply