২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:০৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণ ট‍্যাক্সের রশিদ সংকটে চরম দূর্ভোগে পাসপোর্ট যাত্রীরা

     

এম ওসমান, বেনাপোল 

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণে যাওয়া পাসপোর্ট যাত্রীরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। ভারত ভ্রমণে যাওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোষ্টে সোনালী ব্যাংকের বুথে ভ্রমণ ট্যাক্সের কোন রসিদ নেই। যাত্রীদেরকে দেওয়া হচ্ছে একটি করে ট্রেজারী চালান। এতে করে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীরা।
শনিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে এ সংক্রান্ত একটি জরুরী নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের সোনালী ব্যাংক বুথ শাখায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভারত ভ্রমণে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রত্যেক যাত্রীকে সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে একটি করে ট্রেজারী চালান কপি দেয়া হচ্ছে। সেই যাত্রীকে আবার সেই একটি করে ট্রেজারী চালান কপি থেকে সেটি ৩টি ফটোকপি করে নিতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী চালান কপি লিখতেও পারছে না।
অন্যদিকে, সোনালী ব্যাংকের বুথে যে নোটিশটি টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে কোন কোর্ড নম্বরও দেওয়া নেই। যে নম্বরে যাত্রীরা অনলাইনে টাকা জমা দেয়া যাবে, এমন কোন দিক নির্দেশনাও নেই। আর যে নোটিশটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাঙ্গিয়ে দিয়েছে তার নিচেও কর্তৃপক্ষের কোন স্বাক্ষর নেই। আর তাতে করে অনেক যাত্রী পড়ছেন বিভ্রান্তে।
ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, আমরা মহিলা মানুষ। ভারত ভ্রমণে যাচ্ছি। আমাদেরকে একটি করে ট্রেজারী চালান ধরিয়ে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতো কিছু বুঝি না। আবার একটি করে ট্রেজারী চালান দেওয়া হয়েছে সেটি আবার ফটোকপি করে নিতে হচ্ছে। কোথা থেকে ফটোকপি করবো আর কোথা থেকেই বা চালান লিখে নেবো তাও জানিনা। এ সংক্রান্ত কোন নোটিশও আগে থেকে জারি করা হয়নি। এমন আন্তর্জাতিক বন্দরে এ ধরনের সমস্যায় বড়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়লাম।
স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদ হাসান শুভ জানান, এর আগে বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণ ট্যাক্স সংক্রান্ত এ ধরনের কোন জটিলতা আমাদের চোখে পড়েনি। এমন বন্দরে এ ধরনের সমস্যা খুবই হতাশাজনক। যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। সেখানে আগে থাকতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম এ বন্দরের সুনাম নষ্ট ছাড়া কিছুই না। সকাল থেকেই দেখছি যাত্রীরা চরম হতাশা নিয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার রকিবুল হাসান জানান, রসিদ বই সংকটের কথা দুই মাস আগে রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। তিনি আরো জানান, অনেক যাত্রী আছে তারা অনলাইন বুঝে না, তারা টাকা কিভাবে জমা করবে? এভাবে পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply