২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৫১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:৫১ অপরাহ্ণ

মোদির সফর বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে – হেফাজত ইসলাম

     

 

আজ বাদে জুমা চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্দোগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন দিল্লীর মুসলমানদের রক্তের ফোটা না শুকাতে বাংলাদেশে খুনি মোদির আমন্ত্রণ এদেশের তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না। তারা মোদির আমন্ত্রণ অনতিবিলম্বে বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনি মুসলিম দেশের প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার জন্মশত বার্ষিকীতে কারা শরীফের ইমাম খতিবকে এনে তার রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করুন। আমরা এবং দেশের জনগণ আপনার প্রতি সমর্থন জানাব। বঙ্গবন্ধুর আত্মাও শান্তি পাবে। তা না করে যদি ভারতের কসাই মোদিকে আনেন তবে বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে কষ্ট দেয়া হবে কারণ তিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ের সাড়ে সাত কোটি মুসলমানদের অভিভাবক।

আজ বাদে জুমা চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে জনসমাবেশে বক্তাগণ উল্লেখিত বক্তব্য রাখেন। হেফাজত ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর সহসভাপতি মাওলানা আলী ওসমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজলুম জননেতা মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী। অন্যান্যদের মধ‌্যে বক্তব্য রাখেন হাজী মাওলানা মুজাম্মেল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী মাওলানা জিয়াউল হাসান, অধ্যাপক খুরশিদ, মাওলানা সরওয়ার, মাওলানা মনসুর, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা তকি ওসমানী, মাওলানা ওসমান কাছেমী, মাওলানা আবু তাহের, কারী ফজলুল করীম জিহাদী, মাওলানা এম এ আবুল কাসেম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, হাফেজ ইয়াছিন, মো: শোয়াইব, মাওলানা মুফতি শেহাবুদ্দিন, মাওলানা শাহেদ, মাওলানা কারী মুবিন প্রমুখ। প্রধান অতিথি মাওলানা মাঈনুদ্দিন রূহী বলেন, ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের বাড়ী ঘর দোকান পাঠ লুট করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে, গণহারে মুসলমানদেরকে জখম করে মা বোন ও মেয়েদের ঘর ছাড়া করা হয়েছে, কাশ্মিরে মুসলমানদেরকে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় হত্যা করা হচ্ছে ধর্ষণ করা হচ্ছে এই মুদি সরকারের নির্দেশে জাতিগত নিধন চালানো হচ্ছে। এই মোদির নেতৃত্বে গুজরাটে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। বিগত সময়ে তাই আজকে পরিস্কার যে মোদি একজন জঘন্য সন্ত্রাসী রক্ত পিপাসু সাম্প্রদায়িক। তিনি ভারতের ঐক্য চায়না। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য মোদিকে ২নং আসামী করা হয়েছিল। যদি এই জন্য সন্ত্রাসী বাংলাদেশে আসে তাহলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। আপনারা প্রস্তুত থাকুন যে কোন কর্মসূচীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, আজ মুদির বিরুদ্ধে শুধু বাংলাদেশ নয় ভারত উপমহাদেশে ঐক্যবদ্ধ, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, আফগানে একই সুর মোদি একজন সন্ত্রাসী। তিনি ভারত থেকে মুসলমানদেরকে বিতাড়িত করতে চায়। তার সহযোগিতায় মায়ানমারের মুসলিম নিধন হয়েছে, গুজরাটের গণহত্যার আসামী মোদির সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যবেক্ষন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশ্ব মুসলিম সংস্থা ওআইসি সহ সকল মানবতাবাদী রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহবান জানাই।
হেফাজত নেতা মুহাদ্দিস মাওলানা আশ্রাফ আলী নেজামপুরী বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে কসাই মোদিকে নামতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সারাদেশ থেকে তৌহিদী জনতা লং মার্চ করে ঢাকা বিমান বন্ধর ঘেরাও করবে। রাজপথ সে দিন তৌহিদী জনতার দখলে থাকবে। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনতায় মোদির কোন ভূমিকা ছিলনা বরং ইন্দিরা গান্ধীই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন।

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply