২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৩১/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

অভিমত মুজিব বর্ষ থেকে মুজিবাব্দ

     

মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব
সেই ১৯২০ সাল থেকে দীর্ঘ শত বছর পার করে ২০২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছি। এ পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ্য যে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার ছোট একটি জনপদে ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ (বাংলায় ৩ চৈত্র) জন্মগ্রহণ করেন বিধায় ওই তারিখ ভিত্তি করেই চলতি সালের আগামী ১৭ মার্চ (মঙ্গলবার) শতবর্ষ পূরণ হতে চলেছে। আর সেটাকে মাথায় রেখে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এদিকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী’ উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি থেকে কাউন্ট ডাউন বা ক্ষণ গননা শুরু হয়েছে এবং চলতি সালের (২০২০) ১৭ মার্চ অপরাহ্নে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জন্মশতবার্ষিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশেষ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে।
বস্তুত প্রাচীনকাল থেকে এ অবনীতে সময় গণনা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি, যা ধীরে ধীরে বিভিন্ন আঙ্গিকে নানা সময়ে একক হিসেবে প্রবির্তত হয়েছে। এ বিশ্বে গোষ্ঠীভিত্তিক অসংখ্য সন ও তারিখ আছে। তার মধ্যে সচরাচর হাতেগোনা কয়েকটি আমরা জানি। উল্লেখ্য, প্রাচীন শকাব্দ সনের পথ ধরে প্রবর্তিত হয়েছে সম্বৎ, মঘী, নেপালি, ত্রিপুরাব্দ, লক্ষণ, পরগণাতি, শাহুর, হিজরি, ঈসায়ি বা খ্রিস্টীয়, বঙ্গাব্দ, জালালি সন ইত্যাদি। এর কোনো কোনোটা সৌরবর্ষে, আবার কোনো কোনোটা চান্দ্রবর্ষে গণনা করা হয়। কিছুটা গভীরে যদি যাই, তাহলে দেখি চতুর্থ মাত্রা (4th Dimension of Length, Breadth, Hight & Time) হিসেবে সময় (টাইম) আছে বলে গতি (মোশন) আছে এবং নিউটনের সূত্রের আওতায় যোগ হয়েছে বস্তু (ম্যাটার)। সত্য কথা বলতে কি, সময় না থাকলে সবকিছু অচল তথা সীমাহীন ওজন নিয়ে চিরস্থির থাকত। তখন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কোনো কিছু অর্থাৎ এমনকি ‘Nothing’ বলেও কিছুই থাকত না। এ বিষয়ে ‘সময়ের ইতিহাস’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক ডব্লিউ হকিংস কৃষ্ণগহ্ববের (ব্ল্যাক হোল) আলোকে অনেক কিছুর অবতারণা করেছেন, যা এক্ষেত্রে বলা সমীচীন হবে না। অবশ্য ইসলামী দশর্নের আওতায় সময় গণনার পেছনে যে শাশ্বত কথাটি উঠে আসে, তার সূত্রপাত হয়েছে পবিত্র কালামে। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বিশ্বজনীনভাবে ঘোষণা দিয়েছেন—‘আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম দিন থেকেই বছর গণনার মাস হবে ১২টি।’ এদিকে ক্রমাবর্তিত শর্তের ভিত্তিতে এটাই প্রমাণ করে যে প্রাচীনকাল থেকেই ফসল বোনা বা কাটা ও ধর্মীয় প্রপঞ্চ হিসেবে আমাদের ধান-শালিকের দেশের মানুষের আত্মার সঙ্গে মিশে আছে প্রতিটি ক্ষণ, তারিখ, মাস ও সাল। সরল ও সোজা বাঙালিরা কায়মনোবাক্যে এ সময়টুকু নিয়ে কত কিছুই না ভাবে, আর কতই না স্বপ্নের আতিশয্যে বিভোর থাকে! বাংলা সনের কথাই ধরি না কেন। এ সনের দিক দিয়ে ষড়ঋতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলা সনটির উত্পত্তি হিজরি সন থেকে। আর হিজরি সন প্রবর্তিত হয়েছে মক্কা থেকে মদিনায় হজরত মুহাম্মদের (সা.) গমন তথা হিজরত ঘিরে। এদিকে সন ও সাল যথাক্রমে আরবি ও ফারসি শব্দ থেকে এসেছে। উল্লেখ্য, ১২০১ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ-বিন-বখতিয়ার খিলজি বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করলে হিজরি সন রাষ্ট্রীয় সাল হিসেবে প্রচলিত হয়। তখন রাজস্ব আহরণের ব্যাপারে হিজরি সনকে গুরুত্ব দেয়া হতো। কিন্তু এতে কৃষকদের ওপর ক্লেশকর ও যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার সৃষ্টি হতো। কেননা চান্দ্র ও সৌরবর্ষের মধ্যে ব্যবধানের কারণে প্রতি বছর ১১-১২ দিন এগিয়ে আসায় ঝামেলা সৃষ্টি হয়। কেননা হিজরি সনের ১২ মাস সৌর ৩৬ বছরে একটি চক্র রচনা করে। যাহোক, চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী খাজনা (ভূমি কর) আদায়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। কেননা ফসল কাটার সময় হলো সৌরবছরের অন্যতম শাশ্বত বাস্তবভিত্তিক প্রতিফল। এ জটিল বিষয়টি বিচক্ষণ মহামতী বাদশা আকবর অনুভব করেন এবং তা সুরাহা করার লক্ষ্যে তিনি হিজরি সনের (মহররম প্রথম মাস) পবিত্রতা রক্ষাকরণপূর্বক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অংকশাস্ত্রবিদ আমির ফতেহুল্লাহ্ সিরাজীকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেন (উল্লেখ্য, তার নামানুসারে ঢাকার অদূরে ফতুল্লা নামকরণ হয়েছে)। সিরাজী বিশাল মোগল সাম্রাজ্যের নানা স্থান পরিভ্রমণপূর্বক বিভিন্ন আঙ্গিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে বাদশা আকবরের মসনদে আরোহণের ৯৬৩ হিজরি সনকে বিবেচনায় এনে প্রস্তাবিত বছরের ক্ষেত্রে ৩৫৪ দিন গণনার পরিবর্তে ৩৬৫ দিনের ওপর জোর দেন। এ ব্যাপারে বিচক্ষণ বাদশা আকবর সভাসদসহ (নবরত্ব) ফতেপুুর সিক্রিতে রাজসভায় বেশ কয়েক দফায় পর্যালোচনা করে সবই ঠিক রাখেন। কেবল বৈচিত্র্যময় ঋতুর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে গণনার নির্দেশ দেন এবং তদানুযায়ী বাংলা সনের সূচনা। উল্লেখ্য, এদিন ছিল হিজরি ২ রবিউস সানি, রোজ শুক্রবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল, ১৫৫৬ সাল। আর তখন থেকেই প্রকারান্তরে বাংলা সনের আওতায় পহেলা বৈশাখের পদচারণা শুরু। সময়ের পরিক্রমায় অনেক বছর কেটে যায়। কিন্তু এতে সময় নিয়ে কিছুটা জটিলতা থেকে যায়, তা নিরসনকল্পে ষাটের দশকে বাংলা সন নিয়ে (১৯৬৩ সালে) বাংলা একাডেমি কর্তৃক বাংলা সন সংস্কারের লক্ষ্যে প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে সভাপতি করে ‘বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার পর্ষদ’ গঠনপূর্বক এ কমিটির ওপর গুরুদায়িত্ব দেয়া হয়। ওই কমিটি বাংলার প্রাকৃতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অবস্থা এবং তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জনপদে সময়ের আবর্তে সংঘটিত মিথস্ক্রিয়ার আলোকে চান্দ্র ও সৌর সনসহ আগের কিছু সূক্ষ্ম বিষয় বিবেচনায় এনে ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি (৫ ফাল্গুন, ১৩৭২ সন) ওই পর্ষদ চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে। এ রিপোর্টে তারা আকবরি তথা বাংলা সনের পক্ষে পুরোপুরি মত দেন। তবে ঋতুর মিথস্ক্রিয়ার আবর্তে মাসগুলোর সময় যাতে নির্দিষ্ট থাকে, সেই ব্যাপারে বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত ৩১ দিন করে এবং আশ্বিন থেকে চৈত্র পর্যন্ত ৩০ দিন হিসেবে এবং একই সঙ্গে অধিবর্ষের (লিপ ইয়ার) জন্য মাধবী চৈত্র মাসকে (৩০+১) = ৩১ দিনের আওতায় আনা হয়। বাংলা সনের দিক দিয়ে দুই বাংলায় একদিন আগে-পিছে হলেও বাংলাদেশের পঞ্জিকা বিভিন্ন আঙ্গিকে সংশোধনের পর অধুনা এটি সর্বজনস্বীকৃত রূপলাভ করেছে। উল্লেখ্য, প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের বিশ্বে স্ব-স্ব জাতির যত সন তথা অব্দ প্রচলিত আছে, তারা তাদের মতো করে অনুসরণ ও পরিপালন করে। কিন্তু বর্তমানে ইংরেজি সাল এ অবনীর ছোট-বড় মিলে ২৩০টি দেশে যতখানি রেখাপাত করে, অন্যগুলো ততটা নয়। ইংরেজি বর্ষের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে হয়তো উপনিবেশবাদের ভূমিকা। এ ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছর (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) প্রবর্তিত হয়েছে যিশু খ্রিস্টের (হজরত ঈসা আ.) জন্মকে ঘিরে। এ সাল শুরুর ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে।
যতদূর জানা যায়, এ খ্রিস্ট বছরের গণনা শুরু হয় তার জন্মের ৫২৫ বছর পর। এক্ষেত্রে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার, পোপ অষ্টম গ্রেগরিসহ অনেকের অবদান প্রণিধানযোগ্য। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে বর্তমানে এ ইংরেজি বছরে পর্যবসিত হয়েছে। মূলত ইংরেজি ১২ মাসের নাম পৌরাণিক রোম ও গ্রিসের ভিন্ন ভিন্ন দেব-দেবীর নামের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে। সাধারণত যিশু খ্রিস্টের জন্ম থেকে পরবর্তী সময়কে AD (Anno Domini) এবং জন্মের আগে BC (Before Christ) বলে অভিহিত করা হয়। এক্ষেত্রে শূন্য থেকে আরম্ভ করা হয়নি। তাই AD ও BC  ১ (এক) পর ১ (এক) ধরা হয়েছে। যদিও বিষয়টি সমালোচিত। যাহোক, বর্তমান যে ইংরেজি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি, আসলে এটি সৌরবছরভিত্তিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। এতে অধিবর্ষের ক্ষেত্রে ৪০০ দ্বারা বিভাজ্যের নিয়ম চালু করা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পারস্যের (ইরান) অব্দ নওরোজের কথাও প্রণিধানযোগ্য। আগেই বলেছি অনেক দেশ বা জাতির পৃথক পৃথক অব্দ থাকলেও খ্রিস্টাব্দের সঙ্গে আমরা অধিক পরিচিত। আমাদের দেশে তিনটি অব্দ একই সঙ্গে প্রবহমান। যেমন খ্রিস্টাব্দ, বঙ্গাব্দ ও হিজরি। অনেকই হয়তো এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন যে তিনটি সন তো বহাল তবিয়তে চলছে, আবার অযথা মুজিবাব্দের কথা তুলছেন কেন? এ সূত্র ধরে উল্লেখ্য, প্রতিটি সন বা অব্দের পেছনে একটি শানে-নজুল আছে। আর এ অব্দ কেবল সময়কেই নির্দেশ করে না। একই সঙ্গে এর ইতিহাসভিত্তিক কথা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে রিলে রেসের ন্যায় বহমান। তাই মুজিবাব্দ যদি চালু করা হয়, তাহলে অধিব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দার্শনিক চিন্তাধারা, অনবদ্য দেশপ্রেম, বাধা-বিঘ্ন উপেক্ষা, ঐতিহাসিক ভাষণ, জেলা-জরিমানা, ত্যাগ-তিতিক্ষা, লিডারশিপ, আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি, আগরতলা ষড়যন্ত্রের শিকার, সত্যাশ্রিত মনোভাব ইত্যাদি সময়প্রবাহের সঙ্গে নির্দেশনামূলক কথা বলবে এবং বলতে গেলে ওই প্রবচনমূলক কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমস্যাসংকুল বাস্তব জীবনে পরোক্ষভাবে পথ দেখাবে বলে মনে করি। এর স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর মহতী কার্যকলাপ প্রসঙ্গে দেশী ও বিদেশী স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সামান্য কিছু অভিমত তুলে ধরছি। সবাই জানেন যে শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছিল, তা সেই সময়ের সাড়ে সাত কোটি লোকের হূদয় নিংড়ানো উক্তি, যা এখনো চলমান। তাছাড়া কেবল দেশের জন্য জেল-জরিমানাসহ আগরতলা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে কম নাস্তানাবুদ হতে হয়নি। তিনি পরিবারর সঙ্গে খুব কম সময়েই থাকতে পেরেছেন। এদিকে একাত্তরের ৭ মার্চের পরে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তখন বলতে গেলে শেখ মুজিবুরের কথায় দেশ চলতে থাকে বিধায় তখন দেশ ও বিদেশে তাকে মুকুটহীন সম্রাট বলে অভিহিত করা হতো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখেনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।’ তাছাড়া জনৈক বিদেশী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে গুণ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আর দোষ হিসেবে দেশের মানুষকে খুব বেশি ভালোবাসি। এ ব্যতীত বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পর প্রথম লন্ডনে কমনওয়েলথ শীর্ষক সম্মেলনকালে শুধু বঙ্গবন্ধুকে বর্তমান রানী এলিজাবেথ এককভাবে বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাত্কার দ্বারা বিশেষ সম্মান দেখিয়েছিলেন।
অনেকে বলে থাকেন, বঙ্গবন্ধু না জন্মালে দেশ স্বাধীন হতো না। আবার এ কথাও অনেকে বলেন, ‘বাংলাদেশের অপর পৃষ্ঠা বঙ্গবন্ধু।’ তার জীবনকাল পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, জীবনের ৪২ শতাংশ সময় জেলখানায় কাটিয়েছেন। আর জেলের বাইরে যতখানি সময় পেয়েছেন, তা বাঙালি জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি এবং সর্বোপরি স্বাধিকারের জন্য অতিবাহিত করেছেন। তাই তার জন্মতারিখ ধরে সাল তথা মুজিবাব্দ প্রবর্তিত হলে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। এক্ষেত্রে ১৯২০ সালকে ভিত্তি করে সময়ভিত্তিক পরিসংখ্যানের আওতায় শূন্যের পরিবর্তে এক ধরে শুরু করা যেতে পারে। এতে একদিকে জাতির পিতাকে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন সংযোজন হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই মর্মে অনুরোধ করছি যে বাংলাদেশকে আরো সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে মুজিবাব্দ প্রবর্তনের ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই যেন এগিয়ে আসে। একই সঙ্গে বর্ণিত মুজিববর্ষের মধ্যেই যেন কাম্য এই অব্দ প্রচলন করা যায়, সে ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাদশাহ আকবরের ন্যায় অবিলম্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি করা সমীচীন।লেখক রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply