চসিক নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী-এম এ মতিন
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন এর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসী সবসময় শান্তির পক্ষে কাজ করেন। তাই আমরা বৃহত্তর চট্টগ্রামের শান্তিপ্রিয় সুফিবাদী জনতার আস্থার প্রতীক, পরীক্ষিত নেতৃত্ব ও দক্ষ সংগঠক আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিনকে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান গ্রহণ করেছি। তিনি আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণ যাতে নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এ লক্ষে ২০ ওয়ার্ডকে ইবিএম পদ্ধতি এবং ২১ ওয়ার্ডকে ব্যালেট পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনানের প্রতি দাবী জানান। নির্বাচনে অশগ্রহণকারী প্রার্থী এম এ মতিন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘোষিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাঁধা এবং সহিংসতার কারণে জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এক ধরণের হতাশা বিরাজ করছে। তাই আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যাতে জনগণ নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে জন্য নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন জনগণ যদি আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হয়ে কাজ করব। মেয়র প্রার্থী এম এ মতিন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিবের দায়িত্ব আছেন। এছাড়াও দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিশেষত জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ১০ লক্ষাধিক জনতার উপস্থিতিতে জঙ্গিবাদ ও নাস্তিক্যবাদ বিরোধী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন মাওলানা এম এ মতিন, অধ্যক্ষ আহমদ হোছাইন আল কাদেরী, মাওলানা ছাদেকুর রহমান হাশেমী, সাহাবুদ্দীন চৌধুরী, স উ ম আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আযহারী, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন, মাস্টার আবুল হোসাইন, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, ওবাইদুল মুস্তফা কদমরসুলী, নূরুল ইসলাম জিহাদী, নাসির উদ্দীন মাহমুদ, মাওলানা আশরাফ হোসাইন, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নিজামী, মোঃ আলী হোসাইন, মোঃ ফজলুল করিম তালুকদার, মোঃ এরশাদ খতিবী, এডিএম আরেছুর রহমান, মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনসারী, খোদ্দামুল মোসলেমিন নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন সিকদার, মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, অধ্যাক্ষ ডিআইএম জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ দস্তগীর আলম, কাজী মাওলানা মহিউদ্দিন, মোঃ সাইফুর ইসলাম নিজামী, মুহাম্মদ ফোরকানুল আলম চৌধুরী, ছাত্রনেতা মাছুমুর রশিদ কাদেরী, মোঃ গোলাম মোস্তফা, রেজাউল করিম ইয়াছিন, মুহাম্মদ এরশাদুল করিম, আসহাব উদ্দিন মুরাদ, মুহাম্মদ জুননরাইন খোকন, কাজী মুহাম্মদ আরাফাত, মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী, মুহাম্মদ ওসমান গণি, মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।