২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:৫৪/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে দেশ-বিদেশের ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়

     

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সিইআইটিসি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৪৭-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান  ৯ ফেব্রুয়ারী রোববার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইআইটিসি ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজাদী’র সম্পাদক এম.এ. মালেক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি, সিইআইটিসি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসাসেবায় চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও নবনির্মিত অত্যাধুনিক ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল চট্টগ্রাম তথা দেশের জন্য অনেক বড় অর্জন উল্লেখ করে জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, চক্ষু হাসপাতালের ট্রাস্টি ও অন্ধকল্যাণ সমিতির অনেক অর্জন সম্পর্কে বিদেশের মানুষ জানলেও এদেশের মানুষ হয়তো অবগত নয়। চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধকল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে সিইআইটিসি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের কয়েক লাখ মানুষ প্রতিবছর সেবা নিতে সক্ষম হচ্ছে। এছাড়াও কয়েক হাজার কর্মী এখান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্তদের অভিনন্দনও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত উল্লেখ করে উপমহাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও বিশিষ্ট জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, তাঁকে স্বাগত জানাই। এছাড়া আমাদের বন্ধু, শুভাকাঙ্খী এবং অংশীদারদের স্বাগত জানাচ্ছি। তাঁদের কেউ কেউ এই উদযাপনে যোগ দিতে দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন। আমি অনুষ্ঠানে আগত মাননীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, সিভিল সোসাইটির সদস্য এবং সরকারী কর্মকর্তাদের স্বাগত জানাতে পেরে খুব আনন্দিত।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসম্পদ বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষত আমাদের কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে যাঁরা আমাদের এই পর্যায়ে আসতে সক্ষম করেছেন, দেশ-বিদেশের কয়েককজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মান জানাচ্ছি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের ৯০ বছর পেরিয়ে গেছে এবং স্বাস্থ্যের উদ্বেগের কারণে তাঁরা আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের সাথে মিল রেখে আমরা আমাদের ৪৭ তম বার্ষিকী উদ্যাপন করছি যা আমরা সবচেয়ে উপযুক্ত উপলক্ষ অনুভব করি। আমাদের দীর্ঘ যাত্রার শুরুটি আপনাদেরকে জানাতে উপস্থিতির এই সুযোগটি নিতে চাই।
অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ১৯৭২ সালে এক বিকেলে প্রফেসর আমিনের বাসভবনের পিছনে একটি পেয়ারা বাগানে প্রয়াত ডা. সাফা এবং ডা. এস আর দাসের উপস্থিতিতে এক কাপ চায়ের সাথে শুরু হয়েছিল। অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠনের ধারণাটি আমাদের আলোচনাকে তুলে ধরেছে। যখন আমরা একটি অব্যবহৃত সরকারী জমি পেলাম তখন এই ধারণাটি বাস্তবায়িত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। তৎকালীন স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় অফিস স্থান, মরহুম এ কে খানকে সভাপতি হিসাবে এবং আমাকে সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য ব্লাইন্ড (বিএনএসবি) নামে একটি সংগঠন হয়েছিল। মাত্র ৩ হাজার ৬শ’ টাকা যা মার্কিন ডলার ১০০ এর সমতুল্য ছিল আমাদের যাত্রার সূচনা।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে, সংস্থাটি আমি এবং অধ্যাপক এম এন আমিন বাদে সমস্ত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে হারিয়েছি। তাঁরা হলেন- মরহুম এ কে খান, ডা. সমিরউদ্দিন, ডা. সুধীর দাস, ডা. এ এফ এম ইউসুফ, এড, আজিজুল হক এবং ডা. বাতেন। আমাদের ৪৭ বছরের দীর্ঘ যাত্রার সময় আমরা প্রচুর বন্ধু, আজীবন সদস্য এবং দাতাদেরও হারিয়েছি, আমি শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের অবদানগুলি স্বীকার করি। একইভাবে, আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু এবং অবদানকারীদের হারিয়েছি। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য- স্যার জন উইলসন, রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি ফর দ্য ব্লাইন্ড – ইউকে এর প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল পল কুলেন, দূরদর্শনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা – অস্ট্রেলিয়ার ফাদার মার্টিন, আন্ধেরি-হিলফের ভাইস প্রেসিডেন্ট – জার্মানির পিটার গ্রুবে – জার্মানি থেকে একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক (যিনি এই চক্ষু হাসপাতালের জন্য বেশিরভাগ তহবিল একটি ডকুমেন্টারের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিলেন); ব্রিটেন ডাউন থেকে যুক্তরাজ্য এবং ডা. ভেঙ্কটস্বামী ভারত থেকে। আজ আমরা তাদের অবদানগুলি স্মরণ করি এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
আমরা তৎকালীন স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, সরকার, জহুর আহমদ চৌধুরীর অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। বাংলাদেশের যে নগরীর কেন্দ্রে একটি ৪০ শয্যা বিশিষ্ট চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনের জন্য সংগঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল, তা ছাড়া আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারতাম না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে, অন্ধদের কল্যাণে যা কিছু প্রকল্প বা কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল- প্রাপ্তবয়স্ক বা শিশুদের জন্যই হোক, সে মানবসম্পদ বিকাশের ক্ষেত্রেই হোক, গ্রামীণ বা শহুরে অঞ্চলে – সে সবই চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে যা ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। দেশ, বিদেশে দাতা এবং অংশীদারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহায়তার কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল। নাগরিক সমাজের সদস্যরা, সাধারণ জনতা এবং বিশেষত মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ ৪৭ বছর ধরে আমাকে এই সংস্থার সাথে যুক্ত থাকার সুযোগ দিয়েছেন এবং আমাকে সমাজে কিছুটা অবদান রাখতে সক্ষম করেছেন।
চক্ষু চিকিৎসা সেবাকে আরো ছড়িয়ে দিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে উল্লেখ করে উপমহাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন আরো বলেন, হতদরিদ্র রোগীদের জন্য প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল বছরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজেরেও বেশী রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অস্ত্রোপচার হচ্ছে বছরে ২০ হাজারেরও বেশী রোগীর। তিনি বলেন, মানুষকে সেবা দেয়ার মনোভাবটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। এই সেবা আরো সহজে রোগীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, বর্তমানে চক্ষু হাসপাতালের পাশে ট্রাস্টের মাধ্যমে ৭০০ কোটি টাকার অত্যাধুনিক ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাকে একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে, কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান রয়ে যাবে। সেবা দিয়ে যাবে। এটাই আমার পাওয়া।
সভাপতির বক্তব্যে ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, এটি একটি ট্রাস্ট। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সেবা। যাঁদের হাত ধরে এই ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি আমার আন্ততরিক কৃতজ্ঞতা রইল। যাঁরা জন্মলগ্ন থেকে বিরামহীন এবং নিরলসভাবে যোগ্য হাতে এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে আছেন তাদের সকলকে স্মরণের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এম এ মালেক বলেন, যাত্রা লগ্নের অনেকেই আবার এখানেও উপস্থিত আছেন। তাদের উপস্থিতিতে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বলেন, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের যে রূপ দেখা যাচ্ছে, তা যেন অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের সন্তান। তিনি এখনো এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৪ ঘন্টা শ্রম দেন। চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়ে শুরু হলেও ট্রাস্টির মাধ্যমে সম্প্রতি আমরা অন্যান্য মেডিকেল সেবাও ( ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল) চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক।
অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশি-বিদেশি ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন- জার্মানের রোজি গোলম্যান, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক বিলসন, শ্রীলঙ্কার ডা. আর পারারাজা সেগ্রাম, ভারতের তুলসীরাজ রাভিল্লা, বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) ডা. এম এ মালেক, সাবেক মন্ত্রী ডা. এম এ মতিন (মরণোত্তর) এবং সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরী (মরণোত্তর)। আর প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল। প্রধান অতিথি সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে গোল্ড মেডেল ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে যেন বিশিষ্টজনদের মিলনমেলায় রূপ নিয়েছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ীমী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, লায়ন গভর্নর কামরুন মালেক, প্রাক্তন লায়ন গভর্নর রূপম কিশোর বড়ুয়া, প্রাক্তন রোটারি গভর্নর অধ্যাপক তৈয়ব চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডা. নুরুল আমিন চৌধুরী। শেষে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এর আগে সকালে চক্ষু হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সকালে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পরিদর্শন করে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ। সম্পাদকদের অনেকেই রাতের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে পনের মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে চক্ষু হাসপাতাল ও বিএনএসবি’র কার্যক্রম প্রদর্শিত হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply