২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:২০/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগের আহবান

     

“সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই” শ্লোগানে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপিত হয়েছে চট্টগ্রামে। জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে সার্কিট হাউজ চত্বর থেকে এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়ক পদক্ষিন করে পূনরায় সার্কিট হাউজ চত্বরে মিলিত হয়। পরে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাজহারুল হক শাহ। আলোচনায় অংশনেন বনফুলের জিএম আনামুল হক, প্রবীন সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, নারী নেত্রী নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, ক্যাব নেতা আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, অজয় মিত্র শংকু, মোহাম্মদ জানে আলম, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, সেলিম সাজ্জাদ, সালাহউদ্দীন আহমদ, হেলাল চৌধুরী, এমদাদুল করিম সৈকত প্রমুখ।বক্তাগন বলেন খাদ্যে ভেজাল মানুষ খুন করার চেয়েও ভয়াবহ। কারন খাদ্যে ভেজাল ও হরেক রকম ক্যামিকেল মিশ্রণ শ্লোপয়জন। কাউকে গুলি করে মেরে ফেললে সে একবারেই মরে যাবেন। আর খাদ্যে ভেজালের কারনে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে পুরো জীবন মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করে মরবে। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী খাদ্য ভেজালের বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতা ঘোষনা করেছেন। দেশে বর্তমানে খাদ্য-ভোগ্য পণ্যে ভেজালের মহোৎসব চলছে। খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পন্য, পানীয় ও জীবন রক্ষা ওষুধে ভেজালের মাত্রা এতটা বিস্তৃতি লাভ করেছে যার থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন হয়ে আছে। আর খাদ্যে ভেজালের এই মহোৎসব চলমান থাকলে মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হওয়ার স্বপ্ন কঠিন হয়ে যাবে। কারন খাদ্যে ভেজালের কারনে মানুষের সুস্থতা যেরকম বাঁধাগ্রস্থ হবে, একই ভাবে মানুষের কর্মক্ষমতাও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। সুস্থ সবল মানবশক্তি ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই খাদ্যে ভেজাল রোধ করা না গেলে সুস্থ, মেধাবী কর্মশক্তি পাওয়া যাবে না আর জাতীয় উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কোনটাই অর্জন সম্ভব হবে না।

বক্তাগন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভোক্তাদের বিশেষ করে ক্রেতাদেরকে খাদ্য পণ্য ক্রয়ে সচেতনতার পাশপাশি এই বিষয়ে প্রণীত আইনের যথাযথ প্রয়োগে সরকারী বিভিন্ন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আন্তরিক ভাবে দায়িত্বপালনের উপর জোর দেন। আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে বারবার অপরাধ প্রবণতা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। খাদ্য ভেজাল মহামারী আকারে রূপ নিচ্ছে।

বক্তাগন খাদ্যে ভেজাল রোধে পরিবার পর্যায়ে নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, খাদ্য পণ্য ক্রয়ে সতর্কতা অবলম্বন, তরুন প্রজন্ম ও নারীদেরকে মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply