২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:১৪/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে চালু হচ্ছে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা

     

৯৫ কিলোমিটার বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে পুনরায় ৯৫ কিলোমিটার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার ফিরবে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। প্রতিদিন ১৯০ কিলোমিটার রোমা কর সমুদ্র ভ্রমনের সাথে মেতে উঠবেন ৫৮২ জন যাত্রী। এছাড়া জাহাজ থেকে সমুদ্র, পাহাড় আর সূর্যাস্ত দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।

৩০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় ‘সমুদ্র যাত্রা’ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হচ্ছে। প্রথম সমুদ্র যাত্রা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে উদ্বোধন করবেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এতে অতিথি থাকবেন-মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিচালক কমোডর ছৈয়দ আরিফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, ট্যুরিষ্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাহাজের দ্বার উন্মোচন, বঙ্গোপসাগরে বিচরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেজবান। উদ্বোধনের পরদিন ৩১ জানুয়ারী, শুক্রবার থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে সরাসরি সাগর পথে সেন্টমার্টিন ভ্রমন করতে পারবেন, এম ভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ টিতে করে।

এখন সরাসরি কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের কারনে পর্যটকরা নানা হয়রানি থেকে রেহায় পাবেন। কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে টেকনাফ যাওয়া এবং সেখান থেকে জাহাজ করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা হতে রেহায় পাবেন ভ্রমণকারিরা।

জাহাজটির কক্সবাজারের পরিচালক ও ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াাছরা (এয়ারপোর্ট রোড) বিআইডব্লিওটিএ ঘাট থেকে নিয়মিত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশ্যে নিয়মিত ছেড়ে যাবে জাহাজ টি। কক্সবাজার ঘাট থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ৭টায়।

সেন্টমার্টিন থেকে ছাড়বে প্রতিদিন বিকাল ৩টায়। উভয় দিক থেকে গন্তব্যে পৌছুতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। কিছুদিন পর সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় আরো ১ ঘন্টা পেছানো হবে।

এম ভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ এর ইকোনমি আসনের (২য় শ্রেনী চেয়ার) ভাড়া জনপ্রতি দুই হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস শ্রেণী আসন (১ম শ্রেনী চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫শ’ টাকা। মোট ১৭ টি লাক্সারি ক্লাস কেবিন রয়েছে এম ভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ এ। এদের মধ্যে ইকোনমি শ্রেণী কেবিন (২য় শ্রেনী) এর ভাড়া ১২ হাজার টাকা ও লাক্সারি ক্লাস (ভিআইপি) কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি কেবিন ২ জন এর জন্য প্রযোজ্য, অতিরিক্ত জন প্রতি আলাদা সাধারণ টিকেট কেটে নিতে হবে।

প্রতিটি টিকেট এর সাথে সৌজন্যমূলক নাস্তা অন্তর্ভুক্ত আছে। আর ভাড়া হচ্ছে আপ-ডাউন বা আসা যাওয়াসহ। কোন যাত্রী ভিন্ন তারিখে ফিরতে চাইলে তা টিকেট সংগ্রহ করার সময় উল্লেখ করতে হবে।

তিনি আরো জানান, প্রায় ৫৫ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রশস্থ জাহাজটিতে মেইন প্রাপালেশন ইঞ্জিন হচ্ছে দুটি। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ড এর এক একটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বি এইচ পি করে।

জাহাজটি ঘন্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। ১৭ টি ভিআইপি কেবিন সমৃদ্ধ। এই নৌযানে ভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৫১০ টি আসন ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে প্রশস্থ কনফারেন্স হল রুম, ডাইনিং স্পেস, সী ভিউ ব্যালকনি।

উন্নত ও আধুনিক নেভিগেশন ব্যবস্থার জন্য রয়েছে, জিপি এস, ইকোসাউন্ডার, রাডার, কম্পাস। রয়েছে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম লাইফ জ্যাকেট, লাইফ র‍্যাফট, লাইফ বয়া এর পাশা পাশি রয়েছে ইমারজেন্সি লাইফ সেভিং বোট। দীর্ঘদিন এ উপকূলীয় পথে অভিজ্ঞ মাস্টার ও ক্রু দ্বারা জাহাজটি পরিচালনা করা হবে। জাহাজের যাত্রীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ নিযুক্ত থাকবে।

 

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply