২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:২৩/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৪:২৩ অপরাহ্ণ

নওগাঁয় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক সেনাসদস্য জেলহাজতে

     

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে আহত স্বামী আবু হেনা মোস্তফা কামাল অরুফে হেলাল এর মামলায় হত্যার পরিকল্পনাকারী সেনাসদস্য সাহাবুল হক বিপ্লব (৩২) অবশেষে জেল হাজতে। গত ২০ জানুয়ারী (সোমবার) চিফ জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিচার কার্য পরিচালনা করেন বিচারক মো: রেজাউল করীম চৌধূরী। সেনা সদস্য সাহাবুল হক বিপ্লব জেলার বদলগাছী উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের সাইফুদ্দিনের ছেলে এবং তিনি বগুড়া জেলার সৈনিক-কুক, ট্রেড-২, ১১১ পদাতিক ব্রিগেড এ কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, আবু হেনা মোস্তফা কামাল অরুফে হেলাল নওগাঁ শহরের চকএনায়েত মহল্লার নুহা প্লাজা (উত্তরা ক্লিনিকের) পাঁচতলায় স্ত্রী নাদিরা পারভীন ও সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন। সেনাসদস্য সাহাবুল হক বিপ্লবের সাথে দীর্ঘদিন থেকে নাদিরা পারভীনের অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে হেলালের দাম্পত্ত্য জীবনে সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। বিপ্লব বিভিন্ন সময় হেলালকে এ নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ফলে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছিলেন হেলাল। গত বছরের ২২ মে সকাল ৮টার দিকে একটি অপারেশনের চুক্তি করার জন্য আলম হোসেন নামে এক ব্যক্তি ‘উত্তরা ক্লিনিকের’ পাঁচতলায় হেলালের বাসায় অনাধিকার প্রবেশ করে। কথা বলার এক পর্যায়ে আলম হোসেন তার কাছ থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হেলালকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে হেলালের বুকের ডান ও বাম পাশে গুরত্বর জখম হয়। এসময় হেলালের স্ত্রী নাদিরা পারভীন নীরব ভূমিকা পালন করেন। আঘাতের পর আলম হোসেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভুলক্রমে রেখে পালিয়ে যান। ক্লিনিকের নিচে থাকা লোকজন হৈ চৈ শুনে উপরে গিয়ে আহত হেলালকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আলম হোসেনকে ওইদিন বদলগাছী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত হেলালের ভগ্নীপতি এনামুল হক বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় হেলালের স্ত্রী নাদিরা পারভীন, আলম হোসেন এবং নাদিরা পারভীনের পরকীয়া প্রেমিক সেনাসদস্য সাহাবুল হক বিপ্লবকে আসামী করে মামলা করেন।
এদিকে সেনাসদস্য সাহাবুল হক বিপ্লব উচ্চ আদালত থেকে গত ২৭/০৮/১৯ ইং তারিখে দুই সপ্তাহের জামিন নেন। এরপর কয়েকদফা তিনি জামিনে ছিলেন। দীর্ঘশুনানি শেষে গত ২০ জানুয়ারী নওগাঁ চিফ জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন চাইলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলাটি পরিচালনা করেন বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সুশিল কুমার মজুমদার ও অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনসহ তিনজন এবং আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply