১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:০৩/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৯:০৩ অপরাহ্ণ

লামায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

     

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
লামায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন খাতে কতিপয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুদ্র মেরামত, টয়লেট মেরামত, উপবৃত্তি, ও প্রাক প্রাথমিক এর টাকা আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি দু’টি বিদ্যালয়ের এসএমসি সদস্য ও সভাপতির স্বাক্ষরিত পৃথক অভিযোগে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, প্রধান শিক্ষকগন এসএমসি সভাপতি ও সদস্যদেরকে কোন ধরনের জবাবদিহীতা করছে না। প্রধান শিক্ষক নিজের মত করে বিদ্যালয় উন্নয়নের অর্থ বায় ভাউচার তৈরি করছে। এর ফলে বিদ্যালয়গুলোতে কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছে না। উপজেলার রুপুসীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও লুলাইনমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ উঠেছে।
রুপুসিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি সদস্য পিন্টুর অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাশে উপস্থিত থাকেন না। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-২০১৯ ইং সালের ক্ষুদ্র মেরামত, লয়টেল মেরামত এবং প্রাক প্রাথমিক বাবদ বরাদ্দকৃত সাত লাখ টাকার কাজে, ঠিকাদারের সাথে আতাত করে নামে মাত্র কাজ করে অর্ধেক টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ছাড়া ২০১৮-২০১৯ অর্থ সালে দরিদ্র ছাত্রদের উপবৃত্তির একত্রিশ হাজার আটশ্ টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আ: মুবিন তার বক্তব্যে বলেন, উপবৃত্তির টাকা তার কাছে রক্ষিত আছে। দূর্গম যোগাযোগের ফলে ছাত্রদের কাছে টাকা পৌঁছানো হয়নি। অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক।
অপরদিকে লুলাইনমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতির ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম,দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন। বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থ সালে রাজস্ব খাত হতে বরাদ্দকৃত একলাখ পঁঞ্চাশ হাজার টাকা স্লিপ হতে বরাদ্দ সত্তর হাজার টাকা, প্রাক প্রাথমিক হতে দশ হাজার টাকাসহ মোট দু’লাখ ত্রিশ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক গ্রহন করেন। উক্ত বরাদ্দের টাকা সমুহ প্রধান শিক্ষক তার মনগড়া ব্যায় ভাউচার করেন। এসএমসি’র কাউকে অবগত না করিয়ে প্রধান শিক্ষক রাসেল দাশ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক কমিটির সভাপতির সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যয় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক রাসেল দাশ কমিটির কাছে উপবৃত্তির টাকার হিসাব দিতে রাজি নয়। সে বিদ্যালয়ে প্রায়ই সময় গড় হাজির থাকে। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতা প্রধান শিক্ষকের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত থাকে। অফিসে বা শ্রেণি কক্ষে কোমলমতি শিশুদের সামনে ধুমপান করার অভিযোগও রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে অভিভাবক ও এসএমসি সভাপতি, সদস্যদেরকে নানা ধরণের হুমকী দেয় বলে এসএমসি সভাপতিসহ এলাকার ৪১জন গন্যমান্য ব্যাক্তিদ্বয়ের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন কুমার চৌধুরী বলেন, এসব অভিযোগ তাদের কাছেও গেছে। অভিযোগ এর সত্যতা যাচাই হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরে আনা প্রয়োজন বলে মনে কলেন স্থানীয়রা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply