২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:১৫/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৯:১৫ অপরাহ্ণ

ইংরেজি নববর্ষে অধিক কর্মসংস্থান সফল হোক

     

মাহমুদুল হক আনসারী
দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ আর কয়েক ঘন্টা পর নানা অনুষ্টান কর্মসূচিতে ইংরেজি নববর্ষ পালন করবে। আমরা যদিও বাংলাদেশের নাগরিক অধিবাসি হলেও বাংলা ভাষার সাথে ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতি অনেক কিছুতে জড়িয়ে আছে। আমাদের দেশের শিক্ষা, অফিস আদালত সরকারি নানা প্রতিষ্টানে ইংরেজির প্রচলন অব্যাহত আছে। ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা হয়েছে। অসংখ্য ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ও শিশু শিক্ষা হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক ভাবে স্বালম্ভী সম্পন্ন জনগন তাদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াতে বেশি আগ্রহী। কারণ, ইংরেজি ভাষা এখনো আর্ন্তজাতিক ভাষা হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশে নিজের অবস্হান ধরে রেখেছে। আর্ন্তজাতিক সবগুলো দেশে ইংরেজি ভাষার চর্চা যেখোনো ভাষা থেকে আলাদা অবস্তানে আছে। পৃথিবীর এই প্রান্ত হতে যে কোনো অঞ্চলে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা যায়। এখনো পৃথিবীর অসংখ্য এয়ারপোর্ট,ইমেগ্রশন হয় ইংরেজি মাধ্যমে। তাই কোনো ভাবেই ইংরেজি ভাষা ও দিবসকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। সুতরাং পৃথিবীর অপরাপর দেশের ন্যায় বাংলেদেশের জনগন ও এ দিবস পালন করে থাকে। তবে দিবসকে সামনে রেখে অযাচিত অপসংস্কৃতি বেলাল্লাপনা পূর্ন অনুষ্টান না থাকা চায়।

বাংলাদেশ বহু ধর্ম গোত্র এবং ভাষাভাষির জনগনের দেশ। এখানে ভিন্ন ভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের নানা অনুষ্টান নিজস্ব কৃষ্টি কালচারের মাধ্যমে পালন করে। বাংলাদেশ উদারপন্তি দেশ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সে কারণে এদেশে অনেক প্রকারের গোত্রিয় ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচলণ চলে আসছে। সে সাথে ইংরেজি ভাষা প্রায় সবগুলো শিক্ষিত সমাজে প্রচলন হয়ে আসছে। তাই ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতি আর দিবস পালন বহু যুগ থেকে এদেশে চালু আছে। এদেশের ওল্ড প্রকৃতির শিক্ষিত মানুষ গন নানা অনুষ্টান দিবসে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে অনেক আরাম বোধ করে। এসব বিষয় কোন ভাবে ছোট করে ভাবা উচিত নয়। পৃথিবীকে জয় করতে হলে দুনিয়ার প্রচলিত উন্নত ভাষা চর্চা ও আয়ত্বে আনতে হবে। বাংলা ভাষার চর্চার সাথে দুনিয়ার অপরাপর ভাষা জানা থাকলে সে দেশের জনগনের জন্য ভাগ্যের দরজা খুলে যায়। নানা কারণে নানা পেশার কর্ম সংস্তানের জন্য আর্ন্তজাতিক ভাষার চর্চা অনুশীলন প্রচলন থাকা চায়। বাংলাদেশে অসংখ্য শিক্ষিত যুবক যুবতি নানামূখী শিক্ষা গ্রহন মূলক সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত অনেক যুবক যুবতি কর্মহীন অলস সময় পার করছে। রাষ্ট সঠিক কর্ম পরিকল্পনা ও ব্যাবস্থাপনার অভাবে তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশের উন্নয়ন আর কর্মসূচির অগ্রগতির সাথে কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার হার ও গুণগত মান আর্ন্তজাতিক মানের পর্যায় নিতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষা আর সনদ দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নেয়া সফল হবে না। শিক্ষার মান আর উপযুক্ত কর্ম সংস্থান রাষ্টিয় পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিতে হবে। ইংরেজি জাতিয় নববর্ষ পালনের সাথে নতুন বছরে অপরাপর দেশের সাথে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতি অগ্রগতির পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাষ্টের নিকট প্রত্যাশা। আগামী দিন নতুন বছর বাংলাদেশ ও পৃথিবীর সব অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে সস্তিতে নিরাপদে থাকুক। দুনিয়ার সব অঞ্চলের মানুষের জীবনে বয়ে আনুক সূখ শান্তি আর মানবিক মূল্যবোধ। যেসব অঞ্চলে জনগন নির্যাতিত অধিকার বঞ্চিত তাদের মানবাধিকার ফিরে আসুক। বস্তু হীন গৃহ হীন নাগরিক হীন মানুষের জীবনে প্রশান্তি আসুক। নতুন বছরে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। সব মানুষের ধর্মীয় সাধীনতা প্রতিষ্টা হোক। নারী শিশুর অধিকার প্রতিষ্টা হোক। পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যে ভালোবাসা আর সম্প্রতি জাগ্রত হোক, সে প্রত্যাশায় ইংরেজি নববর্ষের সফলতা।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply