২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:১৪/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপকর্মের চাঁদার ভাগ পান স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারাও

     

 নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) যত অনিয়ম দুনীতি, অপকর্ম সব অপকর্মের গুরু হচ্ছে নুর মোহাম্মদ প্রকাশ নুরু। চমেক হাসপাতাল থেকে নুরুর অবৈধ পথে আয়ের বড় একটি অংশ চাঁদা দেন স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের। নুরুর সিন্ডিকেটের লোকজন নুরুর উপর কোন ধরণের প্রশাসনিক চাপ আসলে তারা নুরুর পক্ষে টাকার বিনিময়ে সাফাই স্বাক্ষী দেন। মিডিয়ার কোন ব্যক্তি সংবাদ পরিবেশন করতে চাইলে প্রথমে মোটা অংকের টাকার অফার এটা নিয়ে সমঝোতায় না আসলে বিভিন্নভাবে হুমকি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান চক্রটি। নুরুর মাসোহারা নেয়া সংবাদ কর্মী ও পুলিশ ও রাজনৈতিক কর্মীসহ প্রায় ৮০ জনের একটি তালিকা রয়েছে নুরুর কাছে। চমেকের যত এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে অধিকাংশ এ্যাম্বুলেন্সের মালিক হচ্ছে নুরু। অধিকাংশ ওষুধের দোকানও নুরুর নিয়ন্ত্রনে। নুরুর মালিকানাধিন একাধিক ফার্মেসি রয়েছে। চমেকে কম দামের ওষুধ বেশী দামে বিক্রি করার সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছে নুরু। রোগীদের জন্য বিনামূল্যে বরাদ্দকৃত ওষুধগুলো নুরুর ফার্মেসী থেকে চমেকের রোগীদের টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নুর মোহাম্মদ নুরুর পিতা নজির আহমদ চমেকের হাসপাতালের নাইট গার্ড হিসেবে চমেকে চাকুরী করার সুবাধে নোয়াখালী জেলা থেকে চট্টগ্রামে আসেন। নুরু বর্তমানে চমেকের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী না হয়েও অবৈধভাবে চমেকের অভ্যান্তরে সরকারি কোয়াটারে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছেন নুরু। নুরু ভাই সৈয়দ আহমদ বাহার ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন।

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর সেখান থেকে চমেকের স্টাফ হিমেবে কর্মরত রয়েছে। আরেক ভাই মোহাম্মদ নাছির চমেকের জরুরী বিভাগে কর্মরত রয়েছে। পাশের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির লোকজনকে। এছাড়া চমেকের পুলিশ ফাঁড়ি, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ও চকবাজার থানা পুলিশকে টাকার একটি অংশ ভাগ দেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নুরুর রয়েছে চকেম হাসপাতালের পাশে বড় বড় চারটি ফার্মেসী এগুলো হলো নোভা ফার্মেসী, হিরা ফার্মেসী, রাজা ফার্মেসী, নিশাত ফার্মেসীসহ অধিকাংশ ফার্মেসী নুরু ও তার ভাইদের মালিকানাধিন। হাসপাতালের এ্যামবুলেন্সের ব্যবসাও এসি ননএসি ৫/৭টি এ্যাবুলেন্সও রয়েছে তাদের। নুরু সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় চমেক হাসপাতালের হাজার হাজার রোগী ও চিকিৎসক। তারা যেভাবে চান সেভাবে চলতে বাধ্যহন চমেকের লোকজন। নুরুর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলও রয়েছে। নারী নির্যাতনের মামলায় নুরু বেশ বেশ কিছুদিন জেলও কেটেছেন। বিএনপি নেতা শিপন নুরুর ক্যাডার বাহিনী হিসেবে নুরুর সমস্যাগুলো তার লোকজন নিয়ে সমাধান করেন। নুরুর অবৈধ পথে আয়ের বড় একটি অংশ স্থানীয় যুবলীগের ক্যাডার নুর মোস্তাফা টিনুকে দৈনিক দুই হাজার টাকা, দেলোয়ার দুই হাজার টাকা, মন্ডল এক হাজার টাকা, মুজিবুর রহমান এক হাজার টাকা, টিনুর ভাই বিএনপি নেতা শিপনকে দৈনিক দেড় হাজার টাকা করে নুরু দেন, নুরুর নিয়ন্ত্রনে চমেক হাসপাতালটি জিম্মি রয়েছে বলে চট্টগ্রাম এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান,

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply