২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:২৫/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৮:২৫ অপরাহ্ণ

সুন্দরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আসামীর মৃত্যু- এসআইসহ ৪ পুলিশ ক্লোজড॥ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন

     

মোঃ গোলজার রহমান
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে অপহরণ মামলার আসামী রিপন চন্দ্র দাসের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে গত শুক্রবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহম্মেদসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন, সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহম্মেদ, কনস্টেবল শাহানুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও নারী কনস্টেবল নার্গিস আক্তার।
উল্লেখ্য গত ২৯ মে সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র দাসের কন্যা চম্পা রানী দাসকে একই গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের ছেলে রিপন দাস কয়েকজন সহযোগিসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। চম্পার পিতা বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই রাজু আহম্মেদ গত বৃহস্পতিবার (১জুন) বগুড়ার কাহালু থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাইট গ্রামের একটি মন্দির থেকে চম্পাকে উদ্ধার করে এবং আসামি রিপন চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে। পুলিশ মাইক্রোবাস যোগে তাদের সুন্দরগঞ্জ থানায় নেয়ার পথে পলাশবাড়ি উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় রিপন প্রস্রাব করার কথা বলে নেমে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে বিপরিত দিক থেকে ্আসা ট্রাক চাপায় তার মৃত্যু হয় বলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা প্রচার করেন। এদিকে পুলিশ হেফাজতে রিপনের মৃত্যুর ঘটনা রহস্য জনক বলে তার পিতা বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করতে যায়। পুলিশ মামলা না নেয়ায় এলাকাবাসি ফুসে উঠে। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চম্পার পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও বাড়ি সংলগ্ন গালা মালের দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রিপনের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে বলে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। অপরদিকে গত শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার মাশকুরুর রহমান ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্ল্যাহ আল ফারুককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়ার উপস্থিতে রিপনের লাশ দাহ না করে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানায়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান নিশ্চিত করেছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply