২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৫০/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৬:৫০ অপরাহ্ণ

রাজারহাটে বিদ্যালয়ের সভাপতি কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারী গাছ ফাড়াই করে নিলেন

     

সাইফুর রহমান শামীম

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গতিয়াসাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন মাস পূর্বে অবৈধভাবে কাটা ৫টি মূল্যবান মেহগনি গাছের ২৫টি গুড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করলেও গত দু’দিন ধরে রহস্যজনক ভাবে কর্তনকারীরাই গাছ গুলো ফাড়াই করে নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় তিন মাস পূর্বে উপজেলার গতিয়াশাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও কতিপয় সদস্য যোগসাজস করে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ৫টি পুরাতন মূল্যবান মেহগনি গাছ কেটে পার্শ্ববর্তী একটি ‘স’ মিলে বিক্রির চেষ্টা করেন। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র ঘটানাস্থলে গাছ কাটার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে পার্শ্ববতী বাবলু মিয়ার ‘স’মিল থেকে কর্তনকৃত গাছের (আংশিক) ২৫টি গুড়ি উদ্ধার করে ‘স’মিল মালিকের হেফাজতে রাখেন।
পরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং পরিদর্শন বইয়েও বিষয়টি লিখিত ভাবে উল্লেখ করেন। অথচ অজ্ঞাত কারনে দীর্ঘ তিন মাসেও উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
এরই মধ্যে গত দু’দিন বিদ্যালয়ের সভাপতি মোশাররফ হোসেন তার দলবল নিয়ে ‘স’ মিলে উপস্থিত হয়ে কথিত উদ্ধারকৃত গাছের গুড়িগুলো ফাড়াই করে নিয়ে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গাছ উদ্ধারের পর থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদস্যরা ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রায় তিন মাসেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা না করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে এসএমসি’র সভাপতি মোশাররফ হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই গাছ গুলোই ফাড়াই করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেজওয়ানা সুলতানা বলেন , কমিটি গাছ কেটে কি করেছে তা আমার জানা নেই।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র গাছের ২৫টি গুড়ি উদ্ধার করে ‘স’মিল মালিকের হেফাজতে রাখার কথা স্বীকার করলেও ফাড়াইয়ের বিষয়ে তার জানা নেই বলে জানান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি,গাছের বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply